অনলাইন মিডিয়া নিবন্ধনের আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে কাল : তথ্যমন্ত্রী
সব অনলাইনকে আগামী ৩০ তারিখ পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশনের আবেদনের সময় নির্ধারণ করে দিয়েছি। পরে আমরা সেগুলো থেকে যাচাই-বাছাই করে আইসিটি মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিলে রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করা হবে চলে জানিয়েছে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা কমিটি আয়োজিত গৌরবের অভিযাত্রায় ৭০ বছর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব তথ্য জানান।
হাছান মাহমুদ বলেন, মতপ্রকাশের দুয়ার আমরা অবারিত করে দিয়েছি। আগে মানুষ তথ্য জানার জন্য পত্রিকা ও টিভির শরণাপন্ন হতো। এখন সেটা ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পারছে।
তিনি বলেন, আগে ৪০ লাখ মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করত। এখন ৯ কোটিরও বেশি মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করছে। মানুষের অধিকার ও বাড়তে থাকুক আমরা সেটা চাই। অধিকার অবারিত করতে গিয়ে যাতে অন্যের অধিকার খর্ব না হয়, রাষ্ট্রের কোনো ক্ষতি না হয়, অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
সেই কারণে আমাদের সরকার ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট করেছে। যার মাধ্যমে কেউ যদি গুজব ছড়ায় তার ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ রয়েছে।
সেপ্টেম্বর থেকে ইউটিউব ফেসবুকে সরাসরি নিয়ন্ত্রণ :
আলোচনায় অংশ নিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইউটিউব ও ফেসবুকে আমরা সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারি না। প্রতিষ্ঠান দুটি মার্কিন পলিসিতে চলে। আশা করছি সেপ্টেরের মধ্যেই আমরা সেখানেও সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করতে পারব।
মন্ত্রী চলেন, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রত্যন্ত এলাকার অনেক বিষয় সহজে উঠে আসছে। যা ইতিবাচক। নেতিবাচক দিকগুলোও রয়েছে।
তিনি বলেন, আপনারা লক্ষ্য করলে এখন বেশ কিছু পরিবর্তন দেখবেন। সবচেয়ে বড় পরিবর্তন হচ্ছে গত নির্বাচনে কোনো প্রকার গুজব ছড়ানো সম্ভব হয়নি । আমরা খুবই শঙ্কিত ছিলাম বিষয়টি নিয়ে।
টেলি যোগাযোগ মন্ত্রী চলেন, ইন্টারনেট নিরাপদ করতে আমরা এরই মধ্যে ২২ হাজার পর্ন সাইট বন্ধ করে দিয়েছি । আর কিছু কিছু অনলাইন সাইট আছে যাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া একটু আমাদের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ে। তথ্যমন্ত্রী এর মধ্যে পদক্ষেপ নিয়েছেন অনলাইন নিবন্ধনের জন্য । আশা করছি আগামী দু-এক মাসের মধ্যে কাজ শেষ হলেই আমরা সেসব সাইটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ পাবো।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, নারী নেত্রী অধ্যাপক মেরিনা জাহান, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল প্রমুখ।