শুক্র. সেপ্টে. 13th, 2024

এবার দীপু মনি গ্রেপ্তার

ঢাকার বারিধারা ডিওএইচএস এলাকা থেকে সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করে।

গুলশান বিভাগের উপকমিশনার (ডিবি) মো. জিয়াউদ্দীন আহমেদ সাবেক মন্ত্রীকে গ্রেপ্তারের তথ্য দিয়ে বলেন, তাকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে চাঁদপুরে ও ঢাকায় মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।

গ্রেপ্তারের পর দীপু মনিকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে রাখা হয়েছে।

রাতে ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, গত ১৩ আগস্ট ঢাকার মোহাম্মদপুর থানার দায়ের করা একটি হত্যা মামলায় দীপু মনিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

“আগামীকাল তাকে আদালতে পাঠানো হবে।”

এর আগে গত বুধবার সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক দীপু মনি ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে চাঁদপুরে নাশকতার মামলা হয়।

ওই মামলার আসামি হিসেবে দীপু মনির বড় ভাই ওয়াদুদ টিপু ছাড়াও ৩৮২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ১২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

বাংলাদেশের প্রথম নারী পররাষ্ট্র ও শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ২০০৮ সাল থেকে চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য।

সবশেষ ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জয়ী চারবারের এ সংসদ সদস্য নতুন সরকারেও জায়গা পেয়েছিলেন। তবে শিক্ষা থেকে সরিয়ে তাকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ভার দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা।

ছাত্র-জনতার তুমুল গণ আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে অন্যান্য মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মত দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনিও প্রকাশ্যে ছিলেন না।

সরকার পতনের দুই সপ্তাহের মাথায় সোমবার সন্ধ্যায় তাকে গ্রেপ্তারের তথ্য দিল পুলিশ।

এ নিয়ে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবশালী দুই মন্ত্রী গ্রেপ্তার হলেন। গত ১৩ অগাস্ট আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়। সেদিন তার সঙ্গে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

সরকার পতনের পর সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের নামে বিভিন্ন মামলা দেওয়ার মধ্যে ১৪ অগাস্ট রাতে গ্রেপ্তার করা হয় সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুকে।

ছাত্র-জনতার প্রবল গণআন্দোলনের মুখে ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর দিশেহারা আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রী ও বিভিন্ন পদধারী নেতাকর্মীদের কেউ কেউ দেশ ছাড়তে পারলেও বেশিরভাগ থেকে যান দেশে। তাদের অধিকাংশই গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন।

আর ক্ষমতার পালাবদলের পর আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা ও প্রাণহানির জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা হচ্ছে। সেসব মামলায় গ্রেপ্তারও শুরু হয়েছে।