মঙ্গল. নভে. 12th, 2024

কাউনিয়ায় আ’লীগের দুই গ্রুপের দ্বন্দ : সহিংসতা এড়াতে সতর্ক অবস্থানে পুলিশ


কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি:
রংপুরের কাউনিয়ায় আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন কমিটি নিয়ে দুই গ্রুপের দ্বন্দকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও সহিংসতা এড়াতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। আজ রবিবার (১২ মার্চ) রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়কে উপজেলা সদর বাসস্ট্যান্ড মোড় এলাকায় পুলিশের অবস্থান লক্ষ করা গেছে। এছাড়াও জনগনের জানমাল রক্ষায় এবং অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে পুলিশের একটি টিমকে উপজেলা বিভিন্ন পয়েন্টে টহল দিতে দেখা গেছে।

কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শনিবার উপজেলার কুর্শা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ মীরবাগ কদমতলা এলাকায় শান্তি সমাবেশ করে। অপরদিকে ৯০ দশকের ছাত্রলীগের ব্যানারে আওয়ামী লীগের অপর অংশ সন্ধায় মীরবাগ বাজারে শান্তি সমাবেশের আয়োজন করে। তাদের সমাবেশটি ছিল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শান্তি সমাবেশ শেষে দলীয় কার্যালয়ে আসে। এসময় দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।

ওসি মোন্তাছের বিল্লাহ বলেন, দুই গ্রুপের দ্বন্দকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও সহিংসতা এড়াতে উপজেলা সদর বাসস্ট্যান্ড মোড় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন আছে।
প্রত্যক্ষদর্শী বেশ কয়েকজন বলেন, সন্ধার পর আওয়ামী লীগের আরেকটি অংশের শান্তি সমাবেশে বক্তৃতা চলছিল। এসময় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে দলীয় কার্যালয় এলাকায় আসা মাত্রই দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে দুই গ্রæপের কর্মীরা ইট পাটকেল ছুড়ে। উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন। এসময় পুলিশ উভয় গ্রæপের উত্তেজিত নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, গত জানুয়ারীতে বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষনা করে উপজেলা আওয়ামী লীগ। কমিটিতে অনেক ত্যাগি নেতা বাদ পড়ে যায়। এনিয়ে পদবঞ্চিত নেতাদের মধ্যে ক্ষোভের দেখা দেয়। পদবঞ্চিত নেতারা এরপর থেকে বিভিন্ন আন্দোলন করে। আর ইউনিয়ন কমিটি নিয়ে শনিবার রাতে শান্তি সমাবেশে আওয়ামী লীগ ও পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল হান্নান বলেন, শান্তি সমাবেশে আসা কর্মীদের জন্য দলীয় কার্যালয়ে আপ্যায়নের ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু অন্য নামের ব্যানারে একটি পক্ষ বিশৃঙ্খলা করতে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করে। এ ঘটনায় আমাদের কয়েকজন কর্মী আহত হন।

তবে ৯০ দশকের ছাত্রলীগের মুখপাত্র আশরাফুল আলম বলেন, আমরা সরকারি দলের কর্মী। মীরবাগ বাজারে শান্তি সমাবেশ ছিল। কিন্তু বিশৃঙ্খলা সৃস্টির উদ্দেশ্যে উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতারা আমাদের পুর্ব ঘোষিত তারিখে তারাও শান্তি সমাবেশ ডাকে। আমাদের শান্তি সমাবেশ চলাকালে তাদের মিছিল থেকে অতর্কিতভাবে ইট পাটকেল ছুঁড়ে। এতে আমাদের কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন।