কাউনিয়ায় মসলা জাতীয় আদার ক্ষেত পরিদর্শন করলেন কৃষি কর্মকর্তা
স্টাফ রিপোর্টার!!
রংপুরের কাউনিয়ায় বিভিন্ন মসলা জাতীয় ক্ষেত পরিদর্শন করেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সজল সরকার।
গত(১০সেপ্টেম্বর)উপজেলার সদর বালাপাড়া ইউনিয়নের ইউনিয়নের কৃষি উদ্দ্যোক্তা নিতাই রায়ের মসলা জাতীয় আদা ও হলুদের ক্ষেত পরিদর্শন করেন।
কৃষি উদ্দ্যোক্তা নিতাই রায় বলেন, বাড়ির আঙিনা, অনাবাদি ও পতিত জমিসহ বিভিন্ন জায়গায় বস্তায় মাটি ভরে গত ৩বছর থেকে মসলা জাতীয় আদা ও হলুদসহ শাকসবজি চাষ করে আসছি। আবহাওয়া অনুকুলে না থাকায় আশা অনুরুপ ফলন পাইনি। এবার কৃষি বিভাগের পরামর্শে চলতি মৌসুমে আদা ও হলুদ চাষ করেছি ভালো ফলনের আশায় দেখা যাক কি হয়।
এসময় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সজল সরকার বলেন, আমরা বাড়ির পরিত্যাক্ত জমিতে মোটিফাইড করে এ মসলা জাতীয় আদা ও হলুদ চাষ যদি করতে পারি, তাহলে আমরা নিজের চাহিদা পূরণ করে বাজারে আমদানী করতে পারবো। আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে ৬/৭মাসের মধ্যে আদা ও হলুদসহ বিভিন্ন সবজি উৎপাদন করতে পারবো।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাহফুজার রহমান, মায়ের দোয়া বীজ ভান্ডারের স্বত্বাধিকারি মোহাম্মদ তাজরুল ইসলাম, সাংবাদিক আসাদুজ্জামান আসাদ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু মোঃ মনিরুজ্জামান জানান, উপজেলায় পারিবারিক পুষ্টি প্রকল্পের আওতায় মসলা চাষে ৮টি প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। এ বছর ৮৫হেক্টর জমিতে আদা ও ৮০হেক্টর জমিতে হলুদ উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুল থাকলে আদা ও হলুদ উৎপাদনের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই লক্ষ্য নিয়ে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। তিনি আরো বলেন পরিত্যাক্ত জমিতে আধুনিক পদ্ধতিতে ভালো বীজ সংগ্রহ করে বস্তায় চাষ করলে পরিবারের প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে বাড়তি আয় করা যায়।