শনি. ডিসে. 14th, 2024

কোন ভাবেই কোন পেশি শক্তির ব্যবহার ও ভোট কেন্দ্রে জোর জবর দস্তি থাকবে না –রংপুরে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল

 স্টাফ রিপোর্টারঃ

সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন,মিডিয়াকে কোনভাবেই বাধা দেয়া যাবে না স্বচ্ছতা, ট্রান্সফারেন্সি প্রতিষ্ঠিত হবে ভিজিবিলিটির মাধ্যমে। মিডিয়া যে ছবিগুলো তুলবে ও বক্তব্য নিবে তা প্রচার হলে দেশের জনগণ দেখতে পাবেন।এ কারণে আমাদেরকে যেকোন মূল্যে ভোট কেন্দ্রের ভিতরের পরিবেশটা ভোটারদের অনুকূলে রাখতে হবে।কোনভাবেই কোন পেশি শক্তির ব্যবহার ভোট কেন্দ্রে থাকবে না জোর জবরদস্তি থাকবে না।যারা ভোটার তারা এসে অত্যন্ত সুন্দর ভাবে নির্বিঘেœ উৎসব মুখর পরিবেশে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সেটা নিশ্চিত করা হবে।

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রংপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সহ মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ সকল কথা বলেছেন।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সহ মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় রংপুর বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা, নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম, পুলিশের রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি আব্দুল বাতেন, জেলাপ্রশাসক মো. মোবাশে^র হাসান, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মনিরুজ্জামান, পুলিশ সুপার মোঃ ফেরদৌস আলী চৌধুরী প্রমুখ।সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, নির্বাচনে মিডিয়াকে কোথাও বাধা দেওয়া যাবে না। মিডিয়া যে ছবি তুলবে, বক্তব্য নেবে, তা সারা দেশব্যাপী প্রচার হবে। জনগণ দেখতে পারবেন, ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করে বেরিয়ে এসে বলছেন, অত্যন্ত নিরাপদে সুন্দরভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরেছি। তাহলে আমাদের নির্বাচন ক্রেডিবল হবে। আর যদি কেউ ভোটকেন্দ্রে এসে বলে ভোট দিতে পারিনি তাহলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে। যেটা সত্য সেটাই প্রকাশ করবেন। যদি ভোটকেন্দ্রের ভিতরে সত্যিকার অর্থে ভোট যদি উত্তম হয় সেটা বলবেন। আর যদি ভোট অত্যন্ত মন্দ হয় তাহলে মন্দটাই বলবেন। অবাধ তথ্য প্রবাহের মাধ্যমে যদি সত্যটা জানতে পারে বিশ্বাস করে তাহলে ভোট নিয়ে জনগণের আস্থার যে সংকট থেকে আমরা উত্তীর্ণ হতে পারব। এ নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রএবং কক্ষে কোন সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে না। এ সময় ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্রগুলো জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবেন ।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল আরো বলেছেন,নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করা সম্ভব হবে অবাধ তথ্য প্রবাহের মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জন করা গেলে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন তিনি। ‘আমি বলেছি, যেটা সত্য সেটিই প্রকাশ করতে হবে। ভেতরে সত্যিকার অর্থে উত্তম হয় কিংবা মন্দ হয় তা বলবেন। এখানে কোন রাখ ঢাকের প্রয়োজন নেই। অবাধ তথ্য প্রবাহের মাধ্যমে সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে জনগণের আস্থা এলে সংকট থেকে উত্তীর্ণ হওয়া সম্ভব।

তিনি বলেন, কোন জোর-জবরদস্তি থাকবে না। ভোটাররা সুন্দরভাবে উৎসব মুখর পরিবেশে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।আজ মঙ্গলবার রংপুর বিভাগের ৮ জেলার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় করলাম। আমি নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট বার্তা দিয়েছি। ভোটাররা নির্বিঘেœ ভোট কেন্দ্রে আসতে পারছেন, ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করে অবাধে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছেন এটি যে কোন প্রকারে নিশ্চিত করতে হবে।  এটি যদি করা হয় তাহলে নির্বাচন ক্রেডিবল হবে।
সিইসি বলেছেন,আমি আগেই বলেছি, এ নির্বাচনে কোনো ভোট কক্ষে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে না। কারণ একসঙ্গে তিনশ আসনের ৪ লাখ কেন্দ্রে ক্যামেরা দিয়ে ভোট পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব নয়। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোন প্রকার পেশী শক্তির ব্যবহার থাকবে না ।

নির্বাচন প্রতিদ্বন্ধিতা পূর্ণ হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমার কাজ হলো নির্বাচন অনুষ্ঠান করা। প্রতি আসনে ৪ থেকে ৬ জন করে প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।এতে করে বোঝা যাচ্ছে নির্বাচন প্রতিদ্বন্ধিতাপূর্ণ হবে।নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাইরে আমার কোনো দায়িত্ব নেই।এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল রংপুর সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে জেলার ৬টি সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।