ঝড়ে নিখোঁজ ৯ জেলের মরদেহ উদ্ধার বরিশালে
সোমবার সন্ধ্যায় মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরপুরে এই নয় মরদেহ পাওয়া যায় বলে জানান বরিশালের পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুল ইসলাম।
এসপি সাইফুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রোববার ঘূর্ণিঝড়ের সময় ভোলার ইলিশা নদীতে একটি ট্রলার ডুবে যায়।
“ট্রলারটি পানির তোড়ে ভেসে মেহেন্দিগঞ্জের মাছকাটা ও মেঘনা নদীর মোহনায় চলে আসে। পরে স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে পুলিশ ট্রলারসহ নয় জেলের লাশ উদ্ধার করে।”
রোববার দুপুরে মেঘনা নদীর ভোলা-বরিশাল সীমান্তবর্তী এলাকায় ২৪ জেলেসহ একটি ট্রলারডুবি হয়। এতে একজন নিহত হন। ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজ ছিলেন ১০ জন, যাদের মধ্যে নয়জনকে বরিশালে উদ্ধার করা হলো।
দুপুরে ২৪ জন জেলে চাঁদপুরে মাছ বিক্রি করে ট্রলারে ভোলার চরফ্যাশনে ফিরছিলেন। পথে মেঘনা নদীর ভোলা-বরিশালের সীমান্তবর্তী এলাকায় ট্রলারটি ডুবে যায়।
পুলিশ-কোস্টগার্ডের অভিযানে ৩০ জীবন রক্ষা
বরিশালের হিজলা উপজেলার মিয়ারচর এলাকা থেকে রোববার ৩০ শ্রমিককে উদ্ধার করেছে পুলিশ ও কোস্ট গার্ড।
মিয়ারচরের কাছে মেঘনা নদীর শাখা নদীতে খননকাজে ব্যবহৃত ড্রেজারের পন্টুন ছিঁড়ে যাওয়ার পর তারা সেখানে ভেসে ছিলেন।
সোমবার পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোববার দুপুর ৩টার দিকে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে রমজান নামে এক ব্যক্তি কান্না জড়িত কণ্ঠে জানান, ঘূর্ণিঝড়ে কারণে প্রবল বাতাসে সৃষ্ট ঢেউয়ের তোড়ে একটি পন্টুন নোঙর থেকে ছিঁড়ে ২৫- ৩০ জন শ্রমিকসহ নদীতে ভেসে গেছে। রমজান তাদের উদ্ধারের অনুরোধ জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ফোন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রমজানের সাথে হিজলা থানার ওসির কথা বলিয়ে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে ৯৯৯ এর পক্ষ থেকে বিষয়টি বরিশাল পুলিশ কন্ট্রোল রুম, নৌ পুলিশ ও কোস্ট গার্ডকে জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উত্তাল নদীর বুকে প্রায় পৌনে দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে পুলিশের উদ্ধারকারী যৌথ দলটি দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে নদীতে ভাসমান পন্টুন থেকে ১৮ জন শ্রমিককে উদ্ধার করে। পাশাপাশি কোস্ট গার্ড সেখানে পৌঁছে ১২ জন শ্রমিককে উদ্ধার করে। ফলে ৩০ জন শ্রমিকের জীবন রক্ষা পায়।