মঙ্গল. অক্টো. 15th, 2024

দুই নারীকে ধর্ষণ শেষে হত্যা: ১৮ বছর পর কার্যকর হচ্ছে দুই জনের ফাঁসি

চুয়াডাঙ্গার আলম ডাঙ্গায় দুইনারীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডের সাঁজা প্রাপ্ত আসামি আজিজুল ওরফে আজিদ ওরফে আজিজ (৫০) ও মিন্টু ওরফে কালুর (৫০) ফাঁসি কার্যকর হবে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে।

সোমবার (৪অক্টোবর) দিবাগত রাত পৌনে ১১টায় দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির ফাঁসি কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছেন যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার তুহিন কান্তি খান। ইতোমধ্যে আইন গত সকল কাজ শেষ হয়েছে।

মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত মিন্টু ওরফে কালু চুয়াডাঙ্গার আলম ডাঙ্গাউপজেলার খাসকররা ইউনিয়নের রায় লক্ষ্মী পুর গ্রামের আলী হিমের ছেলে এবং আজিজ ওরফে আজিজুল একই এলাকার বদর ঘটকের ছেলে।

চুয়াডাঙ্গা আদালত সূত্র ওমামলার বিবরণীতে জানা যায়, আলম ডাঙ্গাথানার জোড় গাছা হাজির পাড়া গ্রামের কমেলা খাতুন ওতার বান্ধবী ফিঙ্গেবে গমকে ২০০৩ সালের ২৭সেপ্টেম্বর রায় লক্ষ্মীপুর গ্রামের মাঠে হত্যা করা হয়। হত্যার আগে তাদের দুইজনকে ধর্ষণ করা হয় বলে পুলিশের তদন্ত প্রতি বেদনে উল্লেখ করা হয়।

প্রতি বেদনে বলা হয়, গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধের পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলা কাটা হয় ওই দুই নারীর।

এঘট নায় নিহত কমেলা খাতুনের মেয়ে নারগিস বেগম খুনের পরদিন আলম ডাঙ্গাথানায় হত্যা মামলাদায়ের করেন। মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত ওই দুই জন সহচার জনকে আসামি করা হয়। অপর দুইজন হলেন,  একইগ্রামের সুজন ওমহি। মামলা বিচারাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন আসামি মহি।

২০০৭ সালের ২৬ জুলাই চুয়াডাঙ্গার নারীওশিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত সুজন, আজিজ ওমিন্টুকে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন। এরপর আসামি পক্ষের লোকজন হাইকোর্টে আপিল করেন। পরেডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল শুনানি শেষে ২০১২ সালে ১১নভেম্বর নিন্ম আদালতের রায় বহাল রাখার আদেশদেন হাইকোর্ট।

চলতি বছরের ২৪ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগ দুই আসামির রায় বহাল রাখেন এবং অপর আসামি সুজনকে খালাস দেন। গত ২০জুলাই যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান সুজন।

মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা পরে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষা করলে তাও নাম ঞ্জুর হয়। ৬সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে কারা অধিদপ্তরকে চিঠি দেয়া হয়েছে। যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার ৮সেপ্টেম্বর সেই চিঠি গ্রহণ করে।

এদিকে যশোর কারাগারের একটি সূত্র বলেছে, ফাঁসির জন্য কারাগারের জল্লাদ মশিয়ার ওকে তুকামাল সহবেশ কয়েক জনের প্রশিক্ষণ চলছে।

এবিষয়ে যশোরকেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার তুহিন কান্তিখান বলেন, এই দুই আসামির ফাঁসির রায় কার্যকরের জন্য আদেশ এসেছে। ফাঁসির মঞ্চপ্রস্তুতসহ ইতোমধ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ হয়েছে।