প্রেমের মরা জলে ডোবে না
ধ্রুবক রাজ———–
ফুলেরা, গাছেরা যেমন গাছে, মাছেরা যেমন নদীতে,
তেমনি তুমিও লুকিয়ে আছো আমার অন্তরীক্ষে,
শত সহস্র বছর ধরে-
চাতক তাকিয়ে রয়, এক পশলা বৃষ্টির অপেক্ষায়,
গ্যালাক্সী থেকে খসে পড়া উল্কার মতো লাশ হয়ে
বেঁচে থাকে।
নগ্ন রাতে, রাতভর রাতে মাকড়সার জাল বুনে চলে
বৃষ্টিহীন দমকা হাওয়া ভেস্তে দিয়ে যায়,
নিঁপুন হাতে আবার গড়ে।
কঙ্কালসার চর্মাবৃত যন্ত্রগুলি ঘঁড়ির কাঁটার মতো
ধুক ধুক করে চলে।
জনশুন্য আমার পৃথিবীতে কাঁকড়ের দেয়ালে
তোমার অন্তর্নাভ অনুভব করি।
কথা বলে আকাশ,বাতাস, চন্দ্র,তারা,
সলজ্জ হাসি হাসে বৈদ্যুতিক বাল্বগুলি;
আমার রাত জাগার সাথী।
বলে না শুধু বৃষ্টি!
আমার প্রমোদতরী যেন শ্রাবণের ধারা।
হাজারো ছোটে চাতকের পিঁছে যেমন ছোঁটে
মায়ের পিঁছে পোনা মাছেরা,
চাতক ছোঁটে লুকিয়ে থাকা তুমি’র পিঁছে….
তুমি হাসলে আকাশ হাসে,
কড়িডোরে এলে পূর্বদিকটা আলোকিত হয়,
তুমি সাঁড়শী উঠালে;
অন্ধকার ঘরে, এক খন্ড হীরক পায়চারী করে,
প্রশান্ত মহাসাগরীয় হিমেল হাওয়া মরুভূমির
লু হাওয়াকে শীতল করে দেয়।
যোজন যোজন মাইল দূর থেকে তোমাকে
দেখি অপলকে…
আঁকতে থাকি তোমাকে;আঁকা হয়ে যায়
বিশ্ব মানচিত্র;
আঁকা হয় না তোমাকে!
তোমার দীঘল কালো চুলের বিনুনীর ভাঁজে ভাঁজে
বিশাল সৌন্দর্য্যের সমূদ্রে পঁচিশ পয়সা’র
বঁড়শীর যেনো পাঠোদ্ধার!
আমার বাইশ বসন্তের গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র তুমি
কিন্তু উপসংহারে তুমি আর ‘তুমি’ হলে না!
ভেন্টিলেটর বিহীন ঘরে কার্বনডাইঅক্সাইড
আধিক্যে আমার বড়ই শ্বাস কষ্ট হয়!
আমি কাঁটা বিছানো বিরানে গোলাপ ফোঁটাই,
মহাসমূদ্রের ওপারে না হয় মালা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবো।
তুমি অক্সিজেন হয়ে এসো।
————————-