মঙ্গল. অক্টো. 15th, 2024

রংপুরের কাউনিয়ায় আখ চাষে সাফল্য পাওয়ায় আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের

স্টাফ রিপোর্টারঃ
বাংলাদেশের জনসাধারনের কাছে অতি পরিচিত একটি ফসলের নাম আখ। দেশের অর্থকারী ফসল গুলোর মধ্যে ইহা অন্যতম। অর্থনৈতিক উন্নয়নে আখের অবস্থান দীর্ঘ দিনের। আখ কেবল মাত্র অর্থকরী ফসল নয় বা অর্থনৈতিক মূল্যই শেষ কথা নয়, আখ দৃশ্যত ঔষধী ফসল হিসেবেও নিজেকে বিশেষ ভাবে পরিচিত করতে সক্ষম হয়েছে।


চলতি মৌসূমে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে অল্প পুঁজিতে লাভজনক হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে দিন দিন আখ চাষে আগ্রহ বাড়ছে এ অঞ্চলের কৃষকদের। আখের বাজার মূল্য ভাল পাওয়ায় আখ চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবানও হয়েছেন আখ চাষিরা।


সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, দেশি আখ ও উচ্চ ফলনশীল হাইব্রীড আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। অন্যান্য ফসলের তুলনায় বেশি লাভবান হওয়ায় আখ চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের।


আখ চাষীরা জানান, উপজেলা কৃষি দপ্তরের সহযোগিতায় উঁচু ও পানি নিষ্কাশন জমিতে দেশি আখ ও উচ্চ ফলনশীল হাইব্রীড গেন্ডারি জাতের আখের চারা রোপনের পাশাপাশি মরিচসহ শাকসবজি চাষ করে বাড়তি আয় ও অল্প পুঁজিতে আখের চাষ করে আশানুরূপ ফলন ও বাজার মূল্য ভাল পাওয়ায় আর্থিকভাবে লাভবানও হয়েছেন।


উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু মো. মনিরুজ্জামান জেটিভিকে বলেন, আখের ফসল উৎপাদনে প্রায় ১০মাস সময় লাগে। আখের চারা রোপনের পাশাপাশি মরিচসহ শাকসবজি চাষ করে বাড়তি আয় করা যায়। এতে আখ চাষিরা আর্থিকভাবে লাভবানও হয়। আখ চাষিরা লাভবান হওয়ায় এ উপজেলায় আখ চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের। এই ধারা অব্যাহত থাকলে আখে সম্প্রসারিত হবে বলে আশা করেন তিনি। এ বছর উপজেলায় কৃষি বিভাগ ১৫হেক্টর জমিতে আখের উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়। মাঠ পর্যায়ে ১৫হেক্টর জমিতে আখের চাষ করেছেন চাষিরা।