১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ঢাকা মহানগর আ.লীগের সম্মেলন করার নির্দেশনা
প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা রোববারই দুই মহানগরের শীর্ষ নেতৃত্বকে জানিয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
নিদের্শনা পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওবায়দুল কাদের ভাই সকালে উত্তরের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান ও আমাকে বলেছেন ডিসেম্বরের ১০ থেকে ১৫ তারিখের মধ্যে সম্মেলন করতে। আমরা সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছি।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাদেক খান বলেন, “কাদের ভাই আমাদের বলেছেন সম্মেলনের প্রস্ততি নিতে। আর সম্মেলনের নির্দিষ্ট তারিখ বলেননি, তবে ডিসেম্বরের ১৫ তারিখের মধ্যে করতে বলেছেন।”
ক্ষমতাসীন দলের গুরুত্বপূর্ণ এই দুই শাখার সম্মেলনের দিনতারিখ ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তারিখ দেখে নির্ধারণ করার কথা কয়েকদিন আগে জানিয়েছিলেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, “আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন ডিসেম্বরের ১৫ তারিখের মধ্যে সম্মেলন করতে। এই নির্দেশনা ইতোমধ্যে উত্তর ও দক্ষিণের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
ঢাকার দুই মহানগরের সম্মেলনের পর ২০-২১ ডিসেম্বর দলের ২১তম জাতীয় সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে।
২০১২ সালের ২৭ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন হয়। এর ৩ বছর পর ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগকে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়।
২০১৬ সালের ১০ এপ্রিল মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর-দক্ষিণ, ৪৫টি থানা এবং ১০০টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়নগুলোর সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকদের নাম ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের তখনকার সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
তখন ঢাকা মহানগর উত্তরে আওয়ামী লীগের একেএম রহমতুল্লাহকে সভাপতি ও সাদেক খানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
দক্ষিণের সভাপতি হন আবুল হাসনাত ও সাধারণ সম্পাদক হন শাহে আলম মুরাদ।