বুধ. এপ্রিল 24th, 2024

আশানুরূপ দাম না পাওয়ায় দুঃশ্চিন্তায় কাউনিয়ার তেজপাতা চাষিরা

কাউনিয়া(রংপুর)প্রতিনিধি:
স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় মসলা জাতিয় পণ্য তেজপাতা। এক সময় লাভজনক ছিল এই মসলা জাতিয় তেজপাতা। তাই বহু কৃষক অতিরিক্ত লাভের আশায় তেজপাতা চাষ করে জীবিকা নির্বাহ এর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু বিপণন ব্যবস্থা না থাকায় আবার আশানুরূপ দাম না পেয়ে এখন দুঃশ্চিন্তায় ভেঙ্গে পড়েছে তেজপাতা চাষিরা।

রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় বিভিন্ন প্রান্তে ছোট বড় নানা ধরনের তেজপাতার বাগান রয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অনেক কৃষক অতিরিক্ত লাভের আশায় ছোট বড় বিভিন্ন জাতের তেজপাতা বাগান গড়ে তুলে। সেই সময় তেজপাতার বাজার চাহিদা বেশি থাকায় এ মসলার চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন অনেকেই।

তেজপাতা চাষি হাছিবুর রহমান জানান, কয়েক বছর আগেও তেজপাতার ভালো দাম পেলেও এখন দাম পাওয়া যাচ্ছে না পূর্বেরমত। তেজপাতার বাজারে সরকারের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই বলে অভিযোগ করেন এ তেজপাতা চাষি। তাই ফড়িদের কাছে তাদের চাহিদামতো দামে পাতা বিক্রি করে দিতে হচ্ছে।

তবে কৃষি পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদে পাতা সংরক্ষণের সুবিধা থাকায় এবং আবাদে পরিশ্রম কম হওয়ায় তেজপাতা উৎপাদনে দিন দিন আগ্রহ বাড় ছিল এলাকার কৃষকদের। কিন্তু বর্তমানে বাজারে দাম না থাকায় সেই তেজপাতা চাষিদের সপ্ন ভেস্তে বসেছে। ফলে একসময়ের লাভজনক তেজপাতা চাষে ক্রমেই আগ্রহ হারাচ্ছেন তেজপাতা চাষিরা।

সরকার উদ্যোগী হয়ে এর নির্দিষ্ট দাম বেঁধে দিলে চাষীদের উপকার হতো। এর প্রচুর দেশে ও বিদেশে ভালো বাজার রয়েছে। তবে দাম নির্ধারণের অভাবের জন্যই লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছেন না চাষিরা। এর দাম নিয়ন্ত্রনে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছে তেজপাতা চাষিরা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল আলম জানান, উপজেলায় ৮০ হেক্টও জমিতে তেজপাতার চাষ হয়েছে। গত কয়েক বৎসরে তেজপাতার ভালো দাম ছিল। বর্তমানে তেজপাতার দাম না পাওয়ার অন্যতম কারণ হল আবাদ বৃদ্ধি তেমনি মধ্যসত্য ভোগীদের দৌরাত্ব বলে অবহিত করেন। তিনি আরো বলেন কৃষি বিভাগ চেষ্ঠা করছে বাজার লিংকের জন্য তাহলে তেজপাতা চাষিরা লাভবান হবে।