বৃহস্পতি. এপ্রিল 18th, 2024

করোনা রোগী শনাক্ত ১০২ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে গত ২৪ ঘণ্টায় (শুক্রবার সকাল আটটা থেকে শনিবার সকাল আটটা) ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ১৯০ জন।

এটি গত ১০২ দিনের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে কম রোগী শনাক্তের রেকর্ড। দেশে করোনার ডেলটা ধরন দেখা দেওয়ার পর এর আগে এক দিনে এর চেয়ে কম রোগী শনাক্তের খবর এসেছিল গত ২৯ মে, এক হাজার ৪৩ জনের।

আজ শনিবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে দেশে করোনা পরিস্থিতির সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টার হালনাগাদ তথ্য জানানো হয়। আগের দিনের তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু ও রোগী শনাক্ত কমেছে। আগের দিন ৩৮ জনের মৃত্যু এবং এক হাজার ৯০৭ জনের দেহে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল।

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। চট্টগ্রামে মারা গেছে ৬ জন। বাকিরা অন্যান্য বিভাগের। তবে ময়মনসিংহ বিভাগে কোনো মৃত্যু হয়নি। গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে ১৬ জন পুরুষ, নারী ১৯ জন।

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ১৯ হাজার ৬৬৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ।বিজ্ঞাপন

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সব মিলিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৪১ হাজার ৩০০। দেশে করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ১৮২ জনের। আর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৪ লাখ ৯৮ হাজার ৬৫৪ জন। আর সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৬৪৫ জন।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনা সংক্রমণ দেখা দেয়। কয়েক মাসের মধ্যে এ ভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। এরপর বিভিন্ন সময়ে সংক্রমণ কমবেশি হলেও গত জুন থেকে করোনার ডেলটা ধরনের দাপটে সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ে।

দুই মাসের বেশি সময় ধরে করোনার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকে। এর মধ্যে আগস্টে দেশে করোনার গণ টিকাদান শুরু হয়। গত মাসের শেষ দিকেই দেশে করোনা সংক্রমণ ও এতে মৃত্যু কমতে শুরু করে।

করোনাভাইরাসের তথ্য হালনাগাদকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সন্ধ্যা পৌনে ছয়টা পর্যন্ত বিশ্বে করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৪৬ লাখ ৮৬ হাজার ৬১ জনের। করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ২২ কোটি ৭৯ লাখ ২৩ হাজার ৮৮৭ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২০ কোটি ৪৬ লাখ ৬ হাজার ২০৫ জন।