বৃহস্পতি. এপ্রিল 25th, 2024

কাউনিয়ায় ভাতার টাকা না পাওয়ায় হতাশ ভাতাভোগীরা

স্টাফ রিপোর্টার
সামাজিক সুরক্ষার আওতায় সরকার দেশের প্রতিটি গ্রামের অসচ্ছল বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতা দিচ্ছে সরকার। ফলে উপকৃত
হচ্ছে গ্রামের অসহায় মানুষ। কিন্তু করোনা মহামারির এই দুঃসময়ে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় অসচ্ছল বয়স্ক, বিধবা ও
প্রতিবন্ধিদের অনেকে ভাতার টাকা না পেয়ে হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন। অসহায় এই তিন শ্রেণির মানুষের ভাতা নিয়ে নয়ছয়
করার অভিযোগ করেন এসব অসহায় ভাতা ভোগীরা।

জানাযায়, উপজেলার বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতাভোগী রয়েছেন ২২হাজার ৭শত ১৫জন। এরমধ্যে বয়স্ক ও বিধবাদের প্রতি মাসে ৫শ ও প্রতিবন্ধীদের ৭৫০ টাকা করে দিচ্ছে সরকার। গত বছরের আগস্ট থেকে ভাতাভোগীদের এমআইএস ডাটা এন্ট্রি শুরু হয়। আর চলতি বছরের এপ্রিল মাস থেকে সরকার মোবাইল ফিন্যানশিয়াল সেবার (এমএফএস) মাধ্যমে টাকা বিতরণ শুরু হয়। অনেকে তাদের ভাতার টাকা পেয়েছেন।

এদিকে অনেকে ভাতার টাকা না পেয়ে করোনার ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন শত শত ভাতাভোগীরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ঘুরেও পাচ্ছে না
কাঙ্খিত ভাতার টাকা। হতাশা নিয়ে ফিরছেন বাড়িতে।

উপজেলার সদর বালাপাড়া ইউনিয়নের তালুক সাহাবাজ গ্রামের দর্জি শ্রমিক মৃত সুরেশ চন্দ্রের স্ত্রী শেফালী জানান, তার স¦ামী
দর্জির কাজ করে সংসার চালাত। তার ছোট পরিবারে ২বছরের একটি ছেলে সন্তান রেখে ১০বছর আগে তার স¦ামী মারা যায়।
অভাবের সংসারে ২বছরের একটি ছেলে সন্তান রেখে স¦ামী মারা যাওয়ায় বিপাকে পড়ে বিধবা নারী। স¦ামীর রেখে যাওয়া কাপড় সেলাই মেশিন দিয়ে রোজগার করে শিশু সন্তানকে নিয়ে সংসার চালিয়ে আসছেন তিনি। এঅবস্থায় গত বছর বিধবা ভাতার
তালিকায় তার নাম অনুমোদন হয়। তার নামে ভাতা এলেও অন্য নাম্বারে টাকা যাওয়ায় হতাশায় তিনি। ভাতা নিতে আসা একই
ইউনিয়নের গংজ্ঞানারায়ন গ্রামের সৈয়দ আলী (বয়স্ক ভাতা বই নম্বর বালা/৫৩), খোপাতী গ্রামের আনোয়ারা বেগম(বিধবা ভাতা
বই নম্বর বালা/৪৮১), একই গ্রামের আনোয়ারা বেগম (বিধবা ভাতা বই নম্বর বালা/৪৮১), টেপামধুপুর ইউনিয়নের আনোয়ার
হোসেন(বযস্ক ভাতা বই নম্বর টেপা/৯৯৪)তাদের নামে ভাতা এলেও অন্য নাম্বারে টাকা চলে যাওয়ায় সমাজসেবা অফিসে ঘুরছেন
তারা। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকার ভাতা ভোগীরা আপেক্ষ জানায়, সরকারের দেওয়া তাদের নামে টাকা এলেও সেই বরাদ্ধকৃত টাকা
অন্য নাম্বারে দেওয়ায় এখনও পাননি তাদের নামে ভাতার টাকা। করোনা মহামারির এই দুঃসময়ে তাদের কাঙ্খিত ভাতার টাকা পাওয়ার জন্য প্রসাশনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

এ ব্যাপারে উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো: সামিউল আলম জানান, ভাতাভোগীরা তাদের ভাতার টাকা পেয়েছেন। কিছু
ভাতার টাকা না পাওয়ায় তাদের তালিকা করে ঢাকায় প্রেরণ করেছেন। তবে অল্প সময়ের মধ্যে বাকীরা ভাতার টাকা পাবেন।

ইউপি চেয়ারম্যান আনছার আলী বাংলার চিত্র ডটকমকে জানান, সরকার গরীব অসহায় মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। সেখানে সরকারের বদনাম সৃষ্টি করতে চায় প্রতারক চক্র। তাই সঠিক তদন্ত করে টাকা ফিরিয়ে এনে অসহায় মানুষদের দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবী জানান।