নিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশে জঙ্গি হামলার পরিকল্পনাকারী এক অস্ট্রেলিও প্রবাসীকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার আদালত। ৩০ বছর বয়সী নওরোজ রায়েদ আমিনের বিরুদ্ধে জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা করার অভিযোগ আনা হয়। 

গত সোমবার (১১ অক্টোবর) নিউ সাউথ ওয়েলস সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পিটার গার্লিং বলেছেন, নওরোজ সহজেই স্বীকার করেছেন যে, তিনি বিদেশে এমন কাউকে খুঁজছিলেন যিনি তাকে বিস্ফোরক ব্যবহার শেখাবেন। কিন্তু নওরোজ জোর দিয়ে বলেছেন, বিস্ফোরকগুলো কেবল বাংলাদেশেই ব্যবহার করা হতো, অস্ট্রেলিয়ায় নয়।

খবরে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের মে থেকে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে দুই বাংলাদেশির সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কথোপকথনের সময় আইএস সমর্থনের কথা জানান নওরোজ। ২০১৫ সালের আগস্টে তিনি বাংলাদেশের এক লোককে বলেছিলেন, ‘রান্না শেখার জন্য দেশে আসতে হবে তাকে।’

২০১৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের পথে রওয়ানাও দিয়েছিলেন নওরোজ। কিন্তু সিডনি বিমানবন্দরে আটক হন তিনি। এসময় তার লাগেজ তল্লাশি করে বেশ কয়েকটি ইউএসবি পেনড্রাইভ, তিন জোড়া ক্যামোফ্ল্যাজ ট্রাউজার (সাধারণত সামরিক বাহিনীর সদস্যরা ব্যবহার করেন), মার্শাল আর্ট গ্লাভস, অস্ট্রেলীয় ডলার ও বাংলাদেশি টাকা পাওয়া যায়।

নওরোজ অবশ্য দাবি করেন, এসব জিনিস বাংলাদেশে তার চাচাতো ভাইকে শেখাতে এবং তাকে আইএসে যোগদান থেকে বিরত রাখার উদ্দেশ্যে আনছিলেন। তবে এ ঘটনার পর নওরোজকে আর উড়োজাহাজে উঠতে দেওয়া হয়নি এবং পরে তার পাসপোর্টও বাতিল করা হয়।

সেই ঘটনার প্রায় দুই বছর পর ২০১৮ সালের জুন মাসে সিডনির ইংলেবার্ন শহর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হলেও চলতি বছর নিজের দোষ স্বীকার করেছেন তিনি।
তাকে পাঁচ বছর চার মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন অস্ট্রেলীয় আদালত। এর মধ্যে চার বছর কোনো প্যারোল পাবেন না তিনি। অবশ্য এরই মধ্যে বেশ কয়েক বছর কারাভোগ হয়ে গেছে তার। সেই হিসাবে ২০২২ সালের জুন মাসেই প্যারোলে ছাড়া পেতে পারেন নওরোজ। খবর : সিডনি মর্নিং হেরাল্ড