শুক্র. এপ্রিল 19th, 2024

বিএনপিকে ছাড়াই নির্বাচনে প্রস্তুত থাকবে আ.লীগ

বার্তা ডেস্ক :

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিলেও সংবিধানে নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান থেকে সরে আসবে না সরকার। অতীতের ন্যায় বিএনপিকে ছাড়াই সরকার এবং আওয়ামী লীগ যথা সময়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে অগ্রসর হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এখনও দুই বছরের বেশি সময় বাকি থাকলেও ইতোমধ্যেই রাজনীতিতে নির্বাচনী উত্তাপ ছড়ানো শুরু হয়ে গেছে। বর্তমান (একাদশ) সংসদের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে। সংবিধান অনুযায়ী এর আগের ৯০ দিনের মধ্যে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই প্রেক্ষাপটে বেশ কিছুদিন ধরেই নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন এবং নির্বাচনকালিন সরকার নিয়ে শুরু হয়েছে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য। প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাদের বক্তব্যে নির্বাচন বিষয়ে তাদের কঠোর অবস্থান প্রকাশ পাচ্ছে। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর রাষ্ট্রপতির সার্চ কমিটির মাধ্যমে গঠিত হতে যাওয়া আগামী ইসির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিএনপি।

আগামী নির্বাচন নির্বাচিত দলীয় সরকারের পরিবর্তে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ ও তত্ত্ববধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠানেরও দাবি তুলেছে দলটি। তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন এবং সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচিত দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচনের ব্যপারে তাদের অনড় অবস্থানই বার বার তুলে ধরছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি নেতারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করে এছাড়া নির্বাচনে যাবে না বলে জানিয়ে আসছেন। শুধু তাই নয়, নির্বাচন হতে দেবেন না বলেও তারা হুমকি দিচ্ছেন। গত ২৭ অক্টোবর এক অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা পরিষ্কারভাবে বলে দিতে চাই একটি নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া এদেশে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করতে হবে। এর মধ্য দিয়েই আমরা একটি নতুন সরকার গঠন করব। এর আগে গত ২৪ অক্টোবর এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে যাবে না।

এদিকে গত ২৫ অক্টোবর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নেতারা বার বার বলছেন তারা আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবেন না। মীমাংসিত একটি ইস্যু নিয়ে দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের এমন বক্তব্য আত্মঘাতি প্রবণতা ছাড়া আর কিছুই নয়। নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে বিএনপি এখনও পুরোনো এবং সেই ধূসর পথে হাঁটছে। প্রকৃত পক্ষে সময় ও স্রোতের মতো নির্বাচনও কারো জন্য বসে থাকবে না। নির্বাচন তো আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে হবে না, হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে।