বৃহস্পতি. মার্চ 28th, 2024

রাজধানীর বাজারে কমছে নিত্যপণ্যের দাম

নিউজ ডেস্ক:
দেশে করোনাভাইরাস আতঙ্কে আকাশ ছুতে যাওয়া সবজির দাম এখন নাগালে এসেছে। একশ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া কাঁচামরিচ এখন ২৫ টাকা। ৪০ থেকে ৬০ টাকা হালি দরে বিক্রি হওয়া লেবুর দাম নেমে এসেছে ২০ টাকায়। সাধারণ ছুটিতে অধিকাংশ নগরবাসী ঢাকা ছেড়ে যাওয়ায় রাজধানীর বাজারে ক্রেতাস্বল্পতা দেখা দিয়েছে। আর ক্রেতা কম থাকায় কমেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম।

চার দিনের ব্যবধানে অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে অনেক ভোগ্যপণ্যের দর। কিছু পণ্যের দাম নেমে এসেছে চার ভাগের এক ভাগে। সবজি থেকে শুরু করে কমেছে পেঁয়াজ, রসুনের দামও। মঙ্গলবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর নতুন কাঁচাবাজার, নবোদয় হাউজিং কাঁচাবাজার ও ঢাকা উদ্যান বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, তিন থেকে চার দিন আগে এসব বাজারে এক হালি এলাচি ও কলম্ব লেবু বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৬০ টাকায়। কয়েক দিনের ব্যবধানে সে দাম নেমে এসেছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়। ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া শসা এখন বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে। বাজারের বাইরে ভ্যানগাড়িত প্রতি কেজি শসা বিক্রি হতে দেখা গেছে মাত্র ১৫ টাকায়। এছাড়া অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমে এসেছে।

টমেটো বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে, সিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে। একই দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে ঢেঁড়স, করলা, বরবটি, বেগুন ও পটল। ৩০ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে পেঁপে। একই দাম গাজরের। মুলা বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে।

সবজির পাশাপাশি কমেছে পেঁয়াজ, রসুন, আলুর দাম। ২৬ মার্চ সাধারণ ছুটি ঘোষণার আগে ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি পেঁয়াজ। বর্তমানে সে দাম নেমে এসেছে অর্ধেকে। পাওয়া যাচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। সেঞ্চুরির ঘর থেকে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় নেমে এসেছে রসুন। ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হওয়া গোল আলু এখন ১৮ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

পণ্যের দাম কমার কারণ হিসেবে বিক্রেতাদের দাবি, বাজারে পণ্য সরবরাহ বেশি। তবে কারো কারো মতে, জনবহুল নগরী এখন অনেকটাই জনশূন্য। ফলে বাজারে ক্রেতা আনাগোনা অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে। যারা এখনো ঢাকায় অবস্থান করছেন তাদের বেশির ভাগই আগে থেকে অনেক খাদ্যসামগ্রী মজুদ করে রেখেছেন। ফলে বাজারে ক্রেতার দেখা নেই।