বৃহস্পতি. এপ্রিল 18th, 2024

রাহাতের এভাবে মৃত্যু বরদাশত করা যায় না: প্রধানমন্ত্রী

Image result for রাহাতের এভাবে মৃত্যু বরদাশত করা যায় না: প্রধানমন্ত্রী
কিশোর আলোর অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে স্কুলছাত্র নাঈমুল আবরার রাহাতের মৃত্যুর ঘটনায় আয়োজকদের অবহেলাকে দায়ী করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, “প্রথম আলো এই ধরনের একটা ঘটনা কিভাবে ঘটায়, আর এত অবহেলা তারা কিভাবে করতে পারে। তাদের কি কোনো দায়বদ্ধতা নেই? তারা কি দেখবে না যে কাদেরকে দিয়ে তারা কাজ কারাচ্ছে। এগুলো ঠিক মতো হচ্ছে কি না? তারা এতটা নেগলেট করেছে যে এই বাচ্চাটা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছে।”

বৃহস্পতিবার অসুস্থ,অস্বচ্ছল ও দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিক ও নিহত সাংবাদিক পরিবারেরর সদস্যদের আর্থিক সহায়তার চেক প্রদান অনুষ্ঠানে একথা বলেন সরকার প্রধান।

তিনি প্রথম আলো কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করে বলেন, “বোঝা উচিৎ ছিল যে ছোট ছোট বাচ্চারাও এখানে পড়াশোনা করছে। সেই দিকে তো কোনো খেয়ালই নেই। এটাও তো একটা গর্হিত অপরাধ। এভাবে একটা বাচ্চা মারা যাবে, এটা তো কখনও বরদাশত করা যায় না।”

গত শুক্রবার ঢাকার রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে যে অনুষ্ঠানে রাহাত বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান, ওই অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল প্রথম আলোর কিশোর সাময়িকী কিশোর আলো।

রাহাতের মৃত্যুর জন্য আয়োজক কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করে নানা কর্মসূচি চলছে। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার পর রাহাতকে কাছের হাসপাতাল বাদ দিয়ে  দূরের হাসপাতালে নেওয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, “ধানমণ্ডি এলাকায় এত হাসপাতাল। রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল পার হয়ে এগিয়ে গেলেই সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, জেনারেল হাসপাতাল। তারপাশে নিউরো হাসপাতাল, তারপাশে ট্রমা সেন্টার।

“এত হাসপাতাল থাকার পরও ওখানে সেখানে না নিয়ে কোথায় মহাখালীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালে বাচ্চাটাকে নিয়ে গেছে এবং তার নাম ঠিকানাও নেই। ডাক্তার যখন কাপড়ে মনোগ্রামটা দেখেছে, তখন প্রিন্সিপালকে ফোন করেছে। বারবার রিপোর্ট করা সত্ত্বেও কেউ ওদিকে দৃষ্টিই দেয়নি।”

রাহাতকে সেদিন মহাখালীর ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

এই স্কুলছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় তার বাবা মো.মুজিবু্র রহমান অবহেলায় মৃত্যুর অভিযোগ এনে প্রথম আলো সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন আদালতে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।