বৃহস্পতি. এপ্রিল 18th, 2024

রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগ খণ্ডন করতে যাবেন সু চি

রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর গণহত্যার অভিযোগে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালতে গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলায় আদালতে লড়াই করবে মিয়ানমার।আর এতে নেতৃত্ব দেবেন দেশটির স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি।

মিয়ানমার সরকার বুধবার এ খবর জানায়।আইনি লড়াইয়ের জন্য এরই মধ্যে একটি টিম গঠন করা হয়েছে। সেই টিমেরই নেতৃত্ব দেবেন সু চি। মামলা মোকাবেলায় নিয়োগ করা হয়েছে বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক আইনজীবীদেরও।

নেদারল্যান্ডসের দি হেগের ‘দি ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস’ (আইসিজে)-এ মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ১১ নভেম্বরে ওই গণহত্যা মামলা করে ওআইসিভুক্ত দেশ গাম্বিয়া।

সু চির দল ‘দ্য ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনসএলডি) মুখপাত্র বলেছেন,“সু চি নিজেই এ মামলা লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।তারা সু চির বিরুদ্ধে ব্যক্তিগতভাবে অভিযোগ করেছে। তিনি মানবাধিকার লঙ্ঘন থামানোর চেষ্টা করেননি বলে অভিযোগ তাদের। তাই সু চি ব্যক্তিগতভাবে নিজে থেকেই এর বিরুদ্ধে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”

ওদিকে, সামরিক মুখপাত্র জেনারেল জ মিন তুন রয়টার্সকে বলেছেন, “সরকারের সঙ্গে সেনাবাহিনীর আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা সেনাবাহিনী সরকারকে পূর্ণ সহযোগিতা করব এবং সরকারের নির্দেশ মেনে চলব।”

মিয়ানমার বলছে, এটি তাদের জাতীয় স্বার্থ রক্ষার লড়াই। এ স্বার্থের পক্ষেই আন্তর্জাতিক আদালতে (আইসিজে) লড়বেন সু চি।

গাম্বিয়ার এ মামলার মধ্য দিয়ে রোহিঙ্গা নিপীড়নের জন্য সমালোচনার মুখে থাকা মিয়ানমার প্রথম আন্তর্জাতিক কোনো আদালতে বিচারের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে।

আগামী ১০ থেকে ১২ ডিসেম্বরে গাম্বিয়া ও মিয়ানমারের শুনানি এবং পাল্টা শুনানিতে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতার অভিযোগে এই প্রথম সু চি আদালতের কাঠগড়ায় অভিযোগ খণ্ডন করতে যাবেন।

রোহিঙ্গা আন্দোলনকর্মীরা আইসিজে তে-গাম্বিয়ার মামলাকে ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যা দিয়েছে। ফ্রি রোহিঙ্গা কোয়ালিশনের প্রচার সমন্বয়ক নে সিন লুইন বলেছেন, “আমরা ১৯৭৮ সাল থেকে গণহত্যার শিকার হচ্ছি। দীর্ঘদিন ধরে আমরা এর ন্যায়বিচার পাওয়ার অপেক্ষায় আছি।”

আইসিজে তে দায়ের হওয়া মামলার রায়ই রোহিঙ্গাদের হরণ করা অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার প্রথম ধাপ হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।