মঙ্গল. এপ্রিল 23rd, 2024

সুন্দরগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি একজনের মৃত্যু

সুন্দরগঞ্জ(গাইবান্ধা)প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি দেখা দিয়েছে। বন্যার পানিতে ডুবে হরিপুর ইউনিয়নের গেন্দুরাম গ্রামের দুলা মিয়ার ছেলে আনারুল ইসলাম (৩২) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
একটানা ১০ দিন থেকে লাগাতার বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা বন্যার পানির ঢলে উপজেলার ৭ ইউনিয়নের ২০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
গাইবান্ধা পাউবো কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে তিস্তা নদীতে পানির স্তর ২৯.২২ সে.মি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঘাঘট নদীতে বন্যার পানি বিপদসীমার ৭৪ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যা কবলিত এলাকায় অনেকে অনাহারে অর্ধাহারে জীবন যাপন করছেন। বন্যা কবলিত মানুষ গবাদিপশু নিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেরি বাঁধ ও উঁচু স্থানসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছে। তারা খাদ্য, বিশুদ্ধ পানীয় জল ও জ্বালানী না থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তাবায়ন কর্মকর্তা নুরুন্নবী সরকার জানান, এ পর্যন্ত ১৮ হাজার ৮০০ পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। এর মধ্যে তারাপুর ইউনিয়নে এক হাজার, বেলকা ইউনিয়নে ৬ হাজার, হরিপুর ইউনিয়নে ৪ হাজার, কাপাসিয়া ইউনিয়নে ৫ হাজার, শ্রীপুর ইউনিয়নে ৮’শ, চন্ডিপুর ইউনিয়নে এক হাজার ৫’শ ও কঞ্চিবাড়ী ইউনিয়নে ৫’শ পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সোলেমান আলী জানান, ১০০ মে.টন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৮৫ মে.টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ১০০ মে.টন চাল ৫ লক্ষ টাকা ও ৫’শ বান্ডিল ঢেউটিনের আবেদন পাঠানো হয়েছে। বন্যার পানি ঢোকার কারণে ৪২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশাপাশি মাধ্যমিক পর্যায়ের ১৫টি প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
এদিকে সোমবার পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। এছাড়াও গাইবান্ধার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আলমগীর কবির, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সোলেমান আলী, সহকারি কমিশনার (ভূমি) রাসেল মিয়া ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণ করেন। ত্রাণ বিতরণ কালে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।