শুক্র. এপ্রিল 26th, 2024

সুস্থ আছে পরীক্ষামূলক টিকা নেওয়া স্কুলশিক্ষার্থীরা

ঢাকা ব্যুরো :


পরীক্ষামূলক টিকা নেওয়া ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী ১২০ স্কুলছাত্র সুস্থ আছে বলে জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। খুব শিগগিরই শিশুদের টিকা দেওয়া শুরু হবে। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, ওই শিক্ষার্থীদের কারও কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। আমরা তাদের পর্যবেক্ষণে রেখেছি। তারা সবাই ভালো আছে। দেশে কোভিড-১৯ টিকা প্রয়োগ শুরুর আট মাস পর স্কুল শিক্ষার্থীদের পরীক্ষামূলক টিকা দেওয়া হয়। এসব শিক্ষার্থীকে পর্যবেক্ষণে রাখার পর সারাদশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করার কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য বিভাগ। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলে আসছেন, স্কুলশিক্ষার্থীদের তালিকা শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পেলেই তারা টিকা দেওয়া শুরু করবেন।

সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, স্কুলশিক্ষার্থীদের টিকা দিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সব প্রস্তুতি নিয়ে যখন আমাদের জানাবে, তখন আমরা টিকাদান শুরু করব। আমরা প্রস্তুত আছি। ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে ২১টি জেলায় শিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে। এসব শিশুদের টিকা দেওয়ার জন্য আলাদা টিকাদান কেন্দ্র করা হবে। সারাদেশে কতগুলো কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে- এ প্রশ্নে সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, কতগুলো কেন্দ্র হবে এই মুহুর্তে বলা মুশকিল।

তবে আমরা ঢাকার বাইরে ২১টি জেলায় টিকা নিচ্ছি। অন্যান্য জেলাগুলোয় টিকা নিতে আমরা সক্ষমতা বাড়াচ্ছি। পর্যায়ক্রম সবগুলো জেলায় ফাইজারের টিকা যাবে। এর আগে ১৪ অক্টোবর মানিকগঞ্জের চারটি স্কুলে নবম ও দশম শ্রেণির ১২০ শিক্ষার্থীকে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা দেওয়া হয়। তাদের ১০ থেকে ১৪ দিন পর্যবেক্ষণে রাখার কথা ছিল। প্রাথমিকভাবে জেলার চারটি স্কুল থেকে নবম ও দশম শ্রেণির ১২ থেকে ১৭ বছরের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হয়েছে। এদিন জেলা শহরের সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫০ জন, সরকারি এস কে বালিকা বিদ্যালয়ের ৫০ জন, গড়পাড়া জাহিদ মালেক উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ জন এবং আটিগ্রাম, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ জন শিক্ষার্থীকে ফাইজারের টিকা দেওয়া হয়েছে। তাদের ১৪ দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল।