বৃহস্পতি. এপ্রিল 25th, 2024

স্বাস্থ্যবীমা চালুর পরিকল্পনার কথা জানালেন প্রধানমন্ত্রী

দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার স্বাস্থ্যবীমা চালুর পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বর্তমানে পরীক্ষামূলকভাবে তিনটি উপজেলায় এই বীমা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে বলে জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন তিনি।

বুধবার সংসদে টেবিলে উপস্থাপিত সাংসদ রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নে শেখ হাসিনা বলেন, “দেশের জনগণের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের স্বাস্থ্যবীমা চালু করার পরিকল্পনা আছে।

“এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আমরা দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য টাঙ্গাইল জেলায় মধুপুর, ঘাটাইল ও কালিহাতি উপজেলায় ইতোমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে স্বাস্থ্যবীমা কার্যক্রম চালু করেছি।”

প্রধানমন্ত্রী জানান, সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার ‘হেলথ কেয়ার ফাইন্যান্সিং স্ট্র্যাটেজি ২০১২-২০৩২’ প্রণয়ন করেছে।

এ কৌশলের অধীনে প্রাথমিকভাবে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দিতে ‘স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি-এসএসকে’ শীর্ষক পাইলট কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এ কর্মসূচির মাধ্যমে ৭৮টি ভর্তিযোগ্য রোগে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। 

স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচির পাইলট প্রকল্প সম্প্রসারণ করে টাঙ্গাইল জেলার অবশিষ্ট নয়টি উপজেলাও এর আওতায় আনা হচ্ছে বলে জানান শেখ হাসিনা।

কালিহাতি, ঘাটাইল ও মধুপুরের দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাসকারী ৮১ হাজার ৫২৮টি পরিবারের নিবন্ধন সম্পন্ন করে ৮১ হাজার ১৭৭টি পরিবারেরর মধ্যে এসএসকে কার্ড বিতরণ করার হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই পাইলট প্রকল্পের ধারাবাহিকতায় ‘হেলথ ইকোনমিকস’ ইউনিটের আওতায় পরবর্তীতে সারা দেশে স্বাস্থ্য বীমা চালু করার মাধ্যমে ওষুধ ও চিকিৎসা দেওয়ার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।

মোকাব্বির খানের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে দেশে মোবাইল ফোনের গ্রাহক সংখ্যা ছিল সাড়ে চার কোটি। চলতি বছরের এপিলে তা উন্নীত হয়েছে ১৬ কোটি পাঁচ লাখে। একই সময় ইন্টারনেট গ্রাহক ৬০ লাখ থেকে নয় কোটি ৩৭ লাখে পৌঁছেছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে টেলিডেনসিটি ৯৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ ও ইন্টারনেট ডেনসিটি ৫৭ শতাংশ। ২০০৮ সালের ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ চার্জ প্রতি এমবিপিএস ২৭ হাজার থেকে কমিয়ে বর্তমানে ২৮৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী জানান, জাতিসংঘের ই-গভর্নমেন্ট সূচক অনুযায়ী বাংলাদেশ বিশ্বের অনেক দেশকে পেছনে ফেলে ২০১৮ সালে ১১৫তম অবস্থানে পৌঁছতে সক্ষম হয়েছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।