আলু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে আলু আমদানি করা হবে -রংপুরে ভোক্তার ডিজি
স্টাফ রিপোর্টার রংপুর
আলু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে ডিমের মতো আলুও আমদানির সুপারিশ করা হবে।আমরা কোল্ড স্টোরেজে আলুর দর ২৭ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছি। এরপরেও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও কোল্ড স্টোরেজের কর্মকর্তারা সিন্ডিকেট করে আলুর বাজার অস্থির করে তুলেছেন।আমরা তাদের এসব সিন্ডিকেট ভাঙার চেষ্টা করছি। আরও ৩-৪ দিন দেখবো। এরমধ্যে সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে ডিমের মতো আলুও আমদানির জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে রংপুর নগরীর উত্তম হাজীরহাট এলাকায় আরমান কোল্ডস্টোরেজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।অপরদিকে হিমাগারে আলু মজুদ করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরীর অভিযোগে রংপুর নগরীর উত্তম হাজীরহাটের আরমান হিমাগারের জিএম লেবু মিয়া সহ ছয় জনকে আটক করেছে। বুধবার সকালে রংপুর নগরীর আরমান হিমাগারে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সংস্থার মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন। অভিযানে আলুর কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির জন্য হিমাগার কর্তৃপক্ষের সাথে ব্যবসায়ীদের যোগসাজসের বিষয়ে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। আটক দের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজীরহাট থানায়। এ ঘটনায় আরো ৪ জনকে রংপুরের জেলাপ্রশাসকের কার্যলয়ে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।এসময় অভিযানে উপস্থিত ছিলেন,জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম সহ ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তারা।
সফিকুজ্জামান বলেন, এখানে রাসেল নামের এক ব্যক্তি নিজের উৎপাদিত আড়াই হাজার বস্তা আলু ও স্থানীয় কৃষকদের সাড়ে ১২ হাজার বস্তাসহ নিজের নামে রেখেছেন। এভাবে অন্যের আলু নিজের নামে রেখে সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন রাসেল।এছাড়া কোল্ডস্টোরেজ কর্তৃপক্ষ ব্যাংক থেকে চার কোটির বেশি টাকা ঋণ নিয়ে কৃষকদের দিয়েছেন। কী উদ্দেশ্যে লোন নিয়ে কৃষকদের দিয়েছেন তা খতিয়ে দেখতে সিন্ডিকেট বিষয়ে অধিকতর তদন্তের জন্য রাসেল ও কোল্ড স্টোরেজের জিএম রেজাউল করিম লেবু হোমল্যান্ড কোলস্টোরেজদের ম্যানেজার রবিউল ইসলাম,রংপুর জেলা আলু ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজীত বণিক,আলু ব্যবসায়ী বাহার উদ্দিন ফলেয়া পাগলাপীর,শাহ আমানত কোলেস্টোরেজের ম্যানেজার রবিউল ইসলাম, তাদের পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়েছে।ভোক্তা অধিকার সংস্থার মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন। অভিযানে আলুর কৃত্রিম সংকটের জন্য হিমাগার কর্তৃপক্ষের সাথে ব্যবসায়ীদের যোগসাজসের বিষয়ে প্রাথমিক সত্যতা পায় সংস্থাটি। আটক ছয় জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজীরহাট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, রংপুরের আরমান কোল্ডস্টোরেজে এখনো পর্যাপ্ত আলু মজুত রয়েছে। আলু বের করার সময় আর দেড় থেকে দুই মাস। এসময়ের মধ্যে আলু বের না করা হলে আলু পচে যাবে। এরপরও সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা আলু বের না করে মজুতের দিকে ঝুঁকছেন। কোল্ড স্টোরেজ থেকে ২৭ টাকা কেজি দরে আলু কিনতে বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানান । আমাদের এসব চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যহত থাকবে। এরপর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান রংপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আলু ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় সভা করেন।এসময় রংপুর জেলা প্রশাসক মোবাশ্বের হাসান, জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) তরিকুল ইসলাম সহ ভোক্তা ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।