শনি. এপ্রিল 20th, 2024

দিনাজপুরে অসময়ে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে আগ্রহী কৃষক

দিনাজপুর প্রতিনিধি :

দেশে ক্রমবর্ধমান পেঁয়াজের চাহিদা, ঘাটতি মেটাতে ও উৎপাদন বাড়াতে অসময়ে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের চারা ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। আর অসময়ে গ্রীষ্মকালিন পেঁয়াজ চাষে লাভবান হওয়ার লক্ষে পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকের মাঝে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে লাগসই কৃষি প্রযুক্তি, দক্ষ ব্যবস্থাপনা, আধুনিক কলাকৌশল প্রয়োগ করে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ (ডিএই), বিএডিসি, বারিসহ প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে খরিপ-২ মৌসুমের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চারা উৎপাদন করা হচ্ছে, যা কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করে পেঁয়াজ চাষে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে।

ইতিমধ্যে দিনাজপুর হর্টিকালচার সেন্টার, সদরপুরে এ অসময়ে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজর চারা উৎপাদন করছে। দিনাজপুর হর্টিকালচার সেন্টার সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন পদ্ধতিতে পেঁয়াজ চারা উৎপাদন করা হচ্ছে, যা ইতিমধ্যে কৃষক-কৃষাণির মাঝে আগ্রহের সৃষ্টি করেছে। পদ্ধতিগুলো হলো ওপেন ফিল্ড-এ পলিথিন শেড’র মাধ্যমে। ওপেন ফিল্ড-এ আগাছা নিয়ন্ত্রণের জন্য পলিথিন মালচ এবং উপরে পলি শেড দিয়ে এবং ২ ইঞ্চি ১ ইঞ্চি প্লাস্টিক ট্রে-তে চারা উৎপাদন।

এই তিন পদ্ধতির মধ্যে সবচেয়ে খোলা মাঠে পলিথিন মালচ ও পলিথিন শেড দিয়ে চারা উৎপাদন পদ্ধতিই বেশি গ্রহণযোগ্য হয়েছে। এই পদ্ধতিতে অবাঞ্চিত আগাছা যেমন প্রতিরোধ করা যায়, তেমন বৃষ্টিতে গোড়াপচা রোগসহ বিভিন্ন রোগ-বালাই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে। তবে অসময়ে পেঁয়াজ চারা উৎপাদন কঠিন ও দূরূহ ব্যাপার। এ সময়ে অঙ্কুরোদগম কম হয় আর বিভিন্ন রোগ-বালাই হয়ে চারা পচে যায়। সদরের ফাজিলপুর ইউনিয়নের আদর্শ কৃষক মো. আবুল হোসেন জানান, সদর ডিএই’র মাধ্যমে অসময়ে এই গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের চারা পেয়ে রোপণ করেছি। চারাগুলো খুব ভালো হয়েছে। বাম্পার ফলনের আশা আছে। দিনাজপুর হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-পরিচালক মো. এজামুল হক জানান, উত্তরাঞ্চলে আমন ধান কেটে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে সাধারণত চাষিরা পেঁয়াজের চারা রোপণ করে থাকেন।

তখন চাষি বাম্পার ফলন পেলেও দাম কম পেয়ে থাকে। এজন্য খরিপ-২ এ অসময়ে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের চারা উৎপাদন করে বাজার অস্থিরতা রোধকল্পে এবং চাষিদের লাভবান করার লক্ষে চারা বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। দিনাজপুর সদর উপজেলার কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. নুর হাসান জানান, গ্রীষ্মকালীন চারা উৎপাদন প্রক্রিয়া ও কলাকৌশল জটিল। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ মাঠ পর্যায়ে আদর্শ চাষিদের মাঝে বিতরণ করে ভালো ফলাফল পাচ্ছে।