নিউজজি ডেস্ক :

পরীমণি ভীষণ সাহসী একটা মেয়ে। ব্যক্তিগতভাবে তাকে আমার ভালো লাগে। উচিত কথা সবার সামনে বলে ফেলেন, যা সবাই পারেন না। পরী নিজ দেশের পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন, যা খুব সহজ নয়- ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণি প্রসঙ্গে কথাগুলো বললেন জীবনমুখী গানের নন্দিত সঙ্গীতশিল্পী নচেকেতা চক্রবর্তী।

এদিকে, সোমবার (৬ আগস্ট) পরীমণি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে নচিকেতার একটি গান শেয়ার করেন। সেই গানটি ছিল ২০১৭ সালের ‘এত সাহস কার’। গানটির প্রতিটি পঙক্তি যেন পরীমণির এই সময়ের কথা। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম থেকে পরীমণি সম্পর্কে জেনে এমন মন্তব্য করেন নচিকেতা।

প্রসঙ্গত, ঢাকা বোট ক্লাবে গিয়ে ক্ষমতাশালী ব্যবসায়ীর কুদৃষ্টির শিকার, হত্যার হুমকি- এসব বিষয় নিয়ে মুখ খুলেন পরীমণি। ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মুখ খোলার পরই মাদক মামলায় নায়িকার ২৭ দিনের কারাবাস- মানসিকভাবে বিধ্বস্ত করে দিয়েছে পরীমণিকে। তবুও তিনি লড়ছেন। তার সেই লড়াইয়ের নেপথ্য শক্তি, নানা শামসুল হকে লেখা একটি চিঠি এবং নচিকেতার গান। যে গানে শিল্পী বলেছেন, ‘তোমার মন খারাপের কারণটা কে, এত সাহস কার?… তাকে আকাশ থেকে এই মাটিতে নামানো দরকার।’

এ বিষয়ে নচিকেতার ভাষ্য, ‘আমি জানি পরীমণি আমার গান শোনেন। পছন্দও করেন। তার অনুপ্রেরণা জেনে ভালো লাগছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সবার বোঝা উচিত, অভিনেত্রীরও না বলার অধিকার আছে। সেই না উচ্চারণ করেই পরীমণি আজ এত বিপাকে। এটা তার দোষ নয়। সমাজের দোষ।’ একই সঙ্গে তিনি দুষেছেন গণমাধ্যমকেও। অভিযোগ, ‘সমাজের মতো একচক্ষু সংবাদমাধ্যমও। কেচ্ছার গন্ধ পেয়ে নড়ে বসেছে। অভিনেত্রীর হয়ে ক’জন মুখ খুলছে?’

নচিকেতার আরো আক্ষেপ, ‘সমাজের এই ধারা সব জায়গাতেই সমান। শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতের চিত্রও এক। নইলে নুসরাত জাহানকে নিয়েও এত বিতর্ক তৈরি হতো না।’

নচিকেতা উদাহরণ দেন ষাটের দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মালা সিন্হার। বলেন, ‘সেই সময় তাকে শুনতে হয়েছিল, তার যাবতীয় উপার্জন নাকি বেশ্যাবৃত্তি করে হয়েছে। সমাজ বরাবর নিজের জোরে ওপরে উঠতে থাকা নারীদের গায়ে কালি মাখিয়ে তাদের নিচে নামিয়েছে। তাই পরীমণিকে পূর্ণ সমর্থন জানাই। সব সময় পাশে আছি।’