শুক্র. মার্চ 29th, 2024

পেঁয়াজ নিয়ে খুব বিপদে আছি: বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, পেঁয়াজ নিয়ে খুব বিপদে আছি। তবে বর্তমানে সারাদেশে পেঁয়াজের দাম কমেছে। কাল-পরশুর মধ্যে আরও কমবে। মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবেসাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, পাবনা ছাড়া দেশের সব জায়গায় ১২০ থেকে ১৪০ টাকার মধ্যে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। এরমধ্যে ঢাকার যাত্রাবাড়ী বাজারে দেশি পেঁয়াজের পাইকারি দাম ১২০ টাকা। অন্যদিকে খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। এছাড়া মিশরের পেঁয়াজের পাইকারি দাম ১২০ টাকা আর খুচরা দাম ১২৫ টাকা। কারওয়ান বাজারে মায়ানমারের পেঁয়াজের খুচরা দাম ১২০ টাকা। অন্যদিকে পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৪০ টাকা। কাল পরশু থেকে দাম আরও কমবে। ২০ থেকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন ফ্লাইটে দেশে পেঁয়াজ আসবে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, আজকে কার্গোতে যে পেঁয়াজ আসার কথা ছিল সেটি আগামীকাল সন্ধ্যায় আসবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, গত ১৩ সেপ্টেম্বর ভারত পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য বাড়িয়ে দেয়। আমরা ধারণা করেছিলাম এটা সাময়িক। তবে ২৯ সেপ্টেম্বর তারা রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ করে দিল। সেসময় তাদের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছিলাম। আমরা বলেছিলাম, বন্ধ করে দিলে সমস্যায় পড়ব। সেসময় ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ২৪ অক্টোবর আবার পেঁয়াজ রপ্তানি চালু করে দিবে। কিন্তু তারা দিল না।

কার্গোতে পেঁয়াজ আনতে এতদিন লাগছে কেন-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাতারাতি কিছু করা যায় না। কার্গো বুক করতেও ৩-৪ দিন লেগে যায়। এসব কারণেই দেরি হয়েছে।

বছরে ৭-৯ লক্ষ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয় বলে জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে ভারতেও পেয়াজের দাম অনেক বেশি। মিয়ানমারেও এখন পেয়াজের দাম বেশি। ভাই এখন মিশর এবং টার্কি থেকে পেঁয়াজ আনা হচ্ছে।

অস্বাদু ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ নিয়ে সুযোগ নিয়েছে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ২ হাজার ৫০০ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। অনেককে কারাদণ্ডও দেয়া হয়েছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।