বৃহস্পতি. এপ্রিল 18th, 2024

প্রাইমারি স্কুল: বন্ধুরাই আনন্দে ভরিয়ে দিল প্রথম দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক :


দীর্ঘ বিরতি আর কার্যত ঘরবন্দি অবস্থা থেকে বের হতে পারার স্বস্তি ও বন্ধুদের কাছে পেয়ে নিজেদের মত করেই ভালোলাগা প্রকাশ করেছে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা।
কেউবা বন্ধুর হাত ধরে দৌড়ে বেড়িয়েছে স্কুলের প্রিয় প্রাঙ্গনে, কেউবা শ্রেণিকক্ষেই মেতেছেন গল্পে, কাউকে কাউকে দোলনায় দোল খেতেও দেখা গেছে প্রিয় বন্ধুটির সঙ্গে।

ক্লাশ শেষেও কথা যেন ফুরাচ্ছিল না কারও কারও। তাইতো বারান্দার প্রাচীরে বসেও পুষিয়ে নিচ্ছিলেন দীর্ঘ বিরতির অভাবটা।

রোববার দেড় বছর পর স্কুলে যাওয়ার পর থেকে শেষ পর্যন্ত মাঠে, শ্রেণিকক্ষে সবর্ত্রই কোমলমতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাসের প্রকাশ ছিল দেখার মত।

ক্লাস শেষে তারা বলছেন, দেড় বছর পর শ্রেণিকক্ষে ফিরে প্রিয় বন্ধু ও শিক্ষককে কাছে পেয়ে প্রথম দিনটা আনন্দেই কেটেছে তাদের।

করোনাভাইরাসের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দীর্ঘ এই বন্ধ শেষে বন্ধুদের কাছে পেয়ে অন্য রকম ভালো লাগাই কাজ করেছে তাদের মধ্যে। ভাইরাসের কারণে আবার যেন বিচ্ছেদের মধ্যে পড়তে না হয় সে কামনাও করেছেন অনেকে।

তবে সংক্রমণ যেহেতু এখনও শেষ হয়ে যায়নি তা নিয়ে উদ্বেগও কাজ করছে অভিভাবক ও শিক্ষকদের মনে।
বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কথা হয় পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মো. ফাহিমের সঙ্গে। প্রায় দেড় বছরের বিরতির পর শ্রেণিকক্ষে সহপাঠী ও শিক্ষকদের পেয়ে কেমন লাগছে, প্রশ্ন ছিল তার কাছে।
হাসি মুখে সে বলেছে, “আমার খুল ভাল লাগছে। এতদিন তো বাইরে বের হওয়া যেত না। তবে কখনও কখনও একটু একটু বের হয়েছি। আজ প্রিয় অনেক বন্ধুদের কাছে পেয়ে ভাললাগা কাজ করছে। বহুদিন পর স্যার-ম্যামদেরকেও একসাথে দেখছি, অনেক ভাল লাগছে।”

আরেক শিক্ষার্থী আম্রিন জাহান আরিফা বলেছে, “এতদিন তো বাসা বের হতে পারিনি, অনলাইন ও মোবাইল ফোনে ম্যাম-স্যার যেসব পড়া দিয়েছেন, তা শেষ করেছি। এখন থেকে ক্লাসে বসে পড়া যাবে, প্রতিদিন বন্ধুদের সাথে দেখা হবে। অন্যরকম ভাল লাগছে।”

আর যাতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ না বাড়ে, সেই প্রত্যাশা মুহাম্মদ আলিফ নামে আরেক শিক্ষার্থীর।

তার ভাষ্য, “ঘরে বসে থাকা ভাল লাগে না, বন্ধুদের সাথে দেখা হয় না। কখনও কখনও অ্যাসাইমেন্ট জমা দিতে স্কুলে এসে কারও সাথে দেখা হয়েছে। সবাই একসাথে দেখা হওয়ার মত ব্যবস্থা হয়নি। এখন যাতে ভাইরাসের সংক্রমণ না বাড়ে সেই আশা করি। স্কুল যাতে আর বন্ধ না হয়ে যায়।”

কেমন ছিল পরিবেশ

রোববার বেশিরভাগ স্কুলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ঢাকার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদেরকে সরব উপস্থিতি দেখা গেছে।

ঢাকার কয়েকটি বিদ্যালয়ে সরেজমিনে দেখা যায়, থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে তাপমাত্রা মেপে শিক্ষার্থীদের স্কুলে প্রবেশ করানো হয়। বিদ্যালয়ের ভেতরে হাত ধোয়ার জন্য বেসিন বসিয়ে পর্যাপ্ত পানি ও সাবান রাখা হয়েছে।