সোমবার সকালে সিলেট সার্কিট হাউসে শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “আগামী ২৪ জুলাইয়ে মধ্যে পরীক্ষার্থীরা বই পাবে। বারবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সিলেট অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের ঘাটতি পূরণে স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সাম্প্রতিক বন্যায় ভেসে যায় সিলেটের বিভিন্ন এলাকার শিক্ষার্থীদের বই, খাতাসহ শিক্ষা সরঞ্জাম। বইপত্র হারিয়ে সবচেয়ে বিপাকে পড়েন এসএসসি পরীক্ষার্থীরা। বন্যার কারণে পিছিয়ে যাওয়া এসএসসি পরীক্ষা আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর শুরু হবে।
বন্যার কারণে সিলেটে শিক্ষাখাতের ক্ষয়ক্ষতি ও তা থেকে উত্তরণের উপায় নিয়েই মতবিনিময় সভায় আলোচনা করেন শিক্ষামন্ত্রী।
এ সময় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাম্প্রদায়িক উন্মাদনা ছড়িয়ে শিক্ষককদের নিগ্রহ নিয়েও কথা বলেন দীপু মনি।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের দু-একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে তা দুঃখজনক ও লজ্জাজনক। এসব ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেজন্য তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শিক্ষক নিগ্রহের বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
দীপু মনি বলেন, একটি মহল সুকৌশলে ধর্মীয় শিক্ষা নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
নতুন কারিকুলামে তাত্ত্বিক ধর্মশিক্ষার পাশাপাশি ব্যবহারিক ধর্মশিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী জানান, এতে করে ধর্মচর্চার বিষয়টি আরও গুরুত্ব পেয়েছে।
অপপ্রচারকারীরা ধর্মীয় চেতনার বাইরে এসে, ধর্মকে ব্যবহার করে, ধর্মের ক্ষতি সাধন করছে। এসব অপপ্রচার রোধে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান দীপু মনি।
সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বিভাগের চার জেলার শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।