শুক্র. এপ্রিল 26th, 2024

পুলিশের আপ্রাণ চেষ্টা কাউনিয়ায় মানছেনা সামাজিক দূরত্ব

Lorem ipsum dolor sit amet,sed diam nonumy eirmod tempor invidunt ut labore et dolore magna aliquyam erat, At vero eos et accusam et justo duo dolores et ea rebum. Lorem ipsum dolor sit amet, no sea takimata sanctus est Lorem ipsum dolor sit amet. Stet clita kasd gubergren, no sea takimata sanctus est Lorem ipsum dolor sit amet. no sea takimata sanctus est Lorem ipsum dolor sit amet. no sea takimata sanctus est Lorem ipsum dolor sit amet. sed diam voluptua.

স্টাফ রিপোর্টার,কাউনিয়া :
রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় করোনা ভাইরাস সংক্রমন ঝুঁকি কমাতে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখায় এবং ঘরে থাকতে পুলিশ প্রশাসন আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কাউনিয়ার অধিকাংশ হাট বাজার ও প্রামের মোড়ে মোড়ে দোকান গুলোতে মানুষের উপস্থিতি চোখে পরার মতো।

সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখাগেছে,পুলিশের উপস্থিতি টের পেলেই মানুষ সরে যাচ্ছে ,পুলিশ চলে গেলেই আবার সাবেক অবস্থা। কাউনিয়া থানা অফিসার ইনচার্ মোঃ আজিজুল ইসলাম দিনরাত তার টিম নিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছেন, কিন্তু মানুষ এখনও সচেতন হচ্ছে না।

সম্প্রতি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ঢাকা ও নারায়নগঞ্জ থেকে বেশ কিছু লোক এসছে,তাদের পুলিশ প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদ লক ডাউন করলেও তারা সুয়োগ পেলেই বাড়ি থেকে বাহির হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন স্থানে। বয়স্ক মানুষের করোনা ভাইরাসে সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি। এ কারণে তাদের সতর্কও বেশি থাকার কথা। তাই সামাজিক দূরত্ব তাদের যথাযথভাবে মানা উচিত, কিন্তু এর ব্যতিক্রম দেখা গেছে কাউনিয়ার ব্যাংক গুলোতে। সকালে সোনালী ব্যাংক খোলার সঙ্গে সঙ্গে বয়স্ক ভাতা ও পেনশন নিতে আসা বহু বৃদ্ধ-নারী-পুরুষ ভিড় করে। সামাজিক দূরত্ব উপেক্ষা করে তারা একে অন্যের ওপর হুমড়ি খেয়ে পড়ে।

ব্যাংক কর্তৃপক্ষের দাবি, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে অনেক চেষ্টা করেও কাজ হয়নি। সোনালী ব্যাংক কাউনিয়া শাখার ব্যবস্থাপক নজরুল ইসলাম খান জানান, ‘বয়স্ক ব্যক্তিদের বেশির ভাগ চোখে দেখেনা আবার অনেকে কানে কম শোনেন। তার ওপর শারীরিকভাবে অনেকেই অসুস্থ। তাঁরা কারো কোনো কথাই মানছেন না। বয়সের কারনে তাদের কিছু বলাও যায় না। তাই যতটা সম্ভব সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে তাঁদের টাকা দেওয়া হয়।

এদিকে গত রবিবার বালিকা বিদ্যালয় মোড়ে একই চিত্র দেখা গেছে। পুলিশ কোন ব্যক্তিকে আটক করলে তারা নানা অজুহাত দেখায়, কেউ বলে ঔষধ নিতে, কেউ বলে বাজার খরচ করতে, আবার কেউ বলে বাড়িতে বসে থাকতে থাকেত আর পারি না তাই একটু ঘুরতে বের হয়েছি। গ্রামের চিত্র আরও ভয়াবহ,বাশেঁর ঝারে গাছের আরালে পুকুর পারে নদীর ধারে বসে তাস খেলা, আবার অনেকে মোবাইলে লুডু খেলছে।

নির্বাহী অফিসার ও আর্মি টহল দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় জরিমানা করছেন, তবুও থামছে না মানুষের আনাগোনা। বালাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আনছার আলী বলেন, শুধু প্রশাসন দিয়ে এটা নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব না, যদিনা মানুষ নিজে থেকে সচেতন হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ উলফৎ আরা বেগম বলেন, সাধারণ মানুষ কে বোঝানো যাচ্ছে না। মানুষ সচেতন নন। এরপরও আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি। অবস্থা ভয়াবহ হলে কয়েক দিন পর আবার এই মানুষকে ঘর থেকে টেনেও বের করা সম্ভব হবে না।