শনি. এপ্রিল 27th, 2024

সোনাইমুড়ীতে মাইকে ডাকাত ঘোষণা দিয়ে হত্যা, মুয়াজ্জিনসহ গ্রেফতার ১২

সোনাইমুড়ীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত ১, মুয়াজ্জিনসহ আটক ১২

নিউজ ডেস্ক:
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মসজিদের মাইকে গুজব ছড়িয়ে এক কিশোরকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মসজিদের মুয়াজ্জিনসহ ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত রবিবার সন্ধ্যায় উপজেলার পোরকরা গ্রামের নজীর আহমেদের ছেলে শুভকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে সোমবার সকালে তার মৃত্যু ঘটে। এ ঘটনায় অজ্ঞাত ৩০ জনকে আসামী করে সোনাইমুড়ি থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

জানা যায়, করোনা ভাইরাসের সতর্ক করণে প্রচারণায় সিএনজিতে করে কয়েকজনসহ পাশ্ববর্তী কাবিলপুর গ্রামে যায় রফিকুল ইসলাম শুভ। এসময় দ্রুতগতিতে সিএনজি চালানোকে কেন্দ্র করে ওই গ্রামের স্থানীয় কতিপয় যুবকদের সাথে বাকবিতণ্ডা হয় শুভর। একপর্যায়ে হাতাহাতি ও মারামারি হয়। এসময় রফিকুল ইসলাম শুভসহ তার সহযোগীদের মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়া হয়।

“পরেরদিন সকালে মোবাইল ফোন ফিরিয়ে আনতে কাবিলপুর গ্রামে গেলে শুভ ও তার সহযোগীদের আটক করে। এ নিয়ে আবারও হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে ফের সংঘর্ষে রুপ নেয়। এসময় মসজিদের মাইকে প্রচার করা হয় গ্রামে ডাকাত পড়েছে। ফলে আশেপাশের এলাকা থেকেও লোকজন ছুটে আসে। এসময় শুভ ও তার সহযোগীদের বেধমভাবে প্রহার করা হয়। পরে কাবিলপুর গ্রামের অভিযুক্ত আসামীরা শুভকে প্রথমে গাছের সঙ্গে বাধে। পরে তাকে বস্তাবন্দি করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে রাস্তায় ফেলে রাখে।”

পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে গুরতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে। পরে গুরতর আহত শুভকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। পরে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে নেওয়ার পথে শুভর মৃত্যু হয়।

সোনাইমুড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সামাদ জানান, সকালে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।