বৃহস্পতি. মে 16th, 2024

করোনা পরিস্থিতি বুঝতে আরও ৬ মাসের অপেক্ষা : ডা. শারফুদ্দিন

নিউজ ডেস্ক:

করোনা পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে তা সঠিকভাবে অনুধাবন করতে আরও ৬ মাস পর্যবেক্ষণ করতে হবে বলে মনে করছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

সোমবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি। এসময় দেশে করোনা সংক্রমণের হার কমলেও স্বস্তির কারণ নেই বলে জানান ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

বিএসএমএমইউ উপাচার্য বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে করোনার সংক্রমণের হার কমার পর পুনরায় নতুন রূপে নতুন ভ্যারিয়েন্টে করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাব দেখা দিয়েছে। বর্তমানে দেশে করোনার সংক্রমণের হার হ্রাস পেলেও আবারও বাড়তে পারে, স্বস্তির কারণ নেই। এছাড়া দেশের করোনা পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে তা সঠিকভাবে অনুধাবন করতে আরও ৬ মাস পর্যবেক্ষণ করতে হবে।

তিনি বলেন, করোনায় আক্রান্ত সকল রোগী ২ সপ্তাহেই সুস্থ হয় না। আরোগ্য হতে কোনো কোনো রোগীর দীর্ঘ সময় লেগে যায়। আবার করোনা নেগেটিভ হওয়ার পরও রোগীদের যেসকল জটিলতা সমূহ দেখা যায় তা থেকে মুক্তি পেতে দীর্ঘমেয়াদী ফলোআপ চিকিৎসার আওতায় থাকা প্রয়োজন।

করোনা নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনার উপর গুরুত্বারোপ করে বিএসএমএমইউ উপাচার্য বলেন, সংক্রমণ আর যেন না বাড়ে সেজন্য অবশ্যই মাস্ক পড়তে হবে, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে, ভ্যাকসিন নিতে হবে এবং বিদেশ থেকে যারা আসে তাদের কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।

বিএসএমএমইউ’র বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কোভিড ফিল্ড হাসপাতাল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বর্তমানে ৫০ জনেরও বেশি রোগী এবং কেবিন ব্লকের করোনা সেন্টারে শতাধিক রোগী ভর্তি আছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই ফিল্ড হাসপাতাল কমপক্ষে আরও ৬ মাস চালু রাখা হবে এবং সার্বিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া অর্থ বরাদ্দ প্রসঙ্গে অধ্যাপক শারফুদ্দিন বলেন, এটা বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনন্য উদাহরণ। তিনি মমতাময়ী ও মানবতার সেবক জননেত্রী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করার জন্য যে অর্থ বরাদ্দ দিয়েছেন তার যথাযথ ব্যবহার করতে হবে।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের অবশ্যই ভ্যাকসিন কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে কোনো প্রকারে শৈথিল্য দেখানো যাবে না।