শুক্র. এপ্রিল 26th, 2024

চাঁপাইনবাবগঞ্জে জেএমবি নেতা হত্যায় ৩ সহযোগীর মৃত্যুদণ্ড

চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিষিদ্ধ জঙ্গি দল জেএমবির অন্তর্কোন্দলে সংগঠনটির নেতা রুহুল আমীন ওরফে সালমানকে হত্যার ঘটনায় তিন জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড এবং চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. শওকত আলী সোমবার সাত বছর আগের এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সালমানের শ্যালক চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার চানপাড়ার সানোয়ার হোসেন, গোমস্তাপুর উপজেলার বালুগ্রাম-রাজারামপুরের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ও একই গ্রামের মফিজুদ্দীনের ছেলে আব্দুস শুকুর।

যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশ পাওয়া আসামিরা হলেন- গোমস্তাপুর উপজেলার গোপালনগরের নুরুল ইসলামের ছেলে শামসুল হক, চকপুস্তম গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে আব্দুল মোতাকাব্বির ওরফে বুলবুল, নজরুল ইসলামের ছেলে সাইফুল ইসলাম, নিমতলার মাহতাবের ছেলে শামীম।

সাত আসামির প্রত্যেককে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে রায়ে। তাদের মধ্যে কেবল সানোয়ার পলাতক রয়েছেন; বাকিরা রায়ের সময় কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আঞ্জুমান আরা জানান, জেএমবির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জেরে ২০১২ সালের ২৬ এপ্রিল নাচোল উপজেলার খলসি-বোরিয়া এলাকায় গলা কেটে হত্যা করা হয় সংগঠনটির ওই সময়ের ‘স্বঘোষিত আমির’ রুহুল আমীন ওরফে সালমানকে।

সালমানের বাড়ি ঢাকার ধানমণ্ডিতে হলেও নাচোলের চানপাড়ায় শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে খুন হন তিনি। পরদিন সকালে স্থানীয় একটি আম বাগান থেকে সালমানের মুণ্ডুহীন লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

নাচোল থানার এসআই আনিসুর রহমান বাদী হয়ে ওইদিনই অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে এই হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে দুই জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী গোমস্তাপুরের ধাইনাঘাট থেকে সালমানের মাথা উদ্ধার করে পুলিশ।

তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ৩১ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন নাচোল থানার পুলিশ পরিদর্শক সাঈদ ইকবাল। বিচার শেষে সাত আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেয় আদালত।