শনি. এপ্রিল 27th, 2024

বিজিএমইএ এবং ডব্লিউআরএপি বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের স্বার্থে পারস্পরিক সহযোগিতা প্রদান করতে আগ্রহী

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক :

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান এবং সহ-সভাপতি মিরান আলী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি’তে ওয়ার্ল্ডওয়াইড রেসপনসিবল অ্যাক্রেডেটেড প্রোডাকশনের (ডব্লিউআরএপি) সভাপতি ও প্রধান নির্বাহী আবেদিস সেফেরিয়ানের (আবফরং ঝবভবৎরধহ) সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

সাক্ষাৎকালে ডব্লিউআরএপি এর কমপ্লায়েন্স অ্যাসুরেন্স এর জেষ্ঠ্য পরিচালক হং মেই এবং কমপ্লায়েন্স প্রশাসনের পরিচালক সৃষ্টি শর্মা উপস্থিত ছিলেন। মার্ক জেগার (গধৎশ ঔধবমবৎ), ভাইস প্রসিডেন্ট, ষ্টেকহোল্ডার এনগেজমেন্ট এবং আইমি ডোব্রজেনিয়েকি, ভাইস প্রেসিডেন্ট, প্রশাসন ভার্চ্যুয়ালী আলোচনায় যুক্ত হন।

বিজিএমইএ সভাপতি পশ্চিমা বিশ্বে বিশেষ করে উত্তর আমেরিকায় বাংলাদেশের ব্যবসা সম্প্রসারনের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন। সভায় বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের স্বার্থে বিজিএমইএ ও ডব্লিউআরএপি কিভাবে পারস্পরিক সহযোগিতা প্রদান করতে পারে ও ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠান দুটি কোন কোন ক্ষেত্রে যুক্ত হতে পারে, সেগুলো নিয়েও আলোচনা হয়।

বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের জন্য সার্টিফিকেশন’কে আরও সহজতর করতে এবং বিশ্বে পোশাক সোর্সিংয়ের নিরপদ ও অনুকূল উৎস হিসেবে বাংলাদেশের সুনাম বৃদ্ধির জন্য কিভাবে আরও সহযোগিতামূলক ও সমন্বিত প্রচেষ্টা গ্রহন করা যেতে পারে, সে বিষয়েও তারা আলোচনা করেন।


বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা, সামাজিক ও পরিবেশগত টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের অগ্রগতি তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের পোশাক শিল্প নিরাপত্তা, টেকসই উন্নয়ন ও শ্রমিকদের কল্যানে পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য বৈশ্বিক স্বীকৃতি অর্জন করেছে। হংকংভিত্তিক সাপাøই চেইন কমপ্লায়েন্স সল্যুশনস প্রোভাইডার, “ছওগঅ” তার সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইথিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারিং দেশ হিসেবে স্থান দিয়েছে। প্রতিবেদনে স্বাস্থ্যবিধি, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, শ্রমিক প্রতিনিধিত্ব, শৃঙ্খলাজনিত অনুশীলন এবং বৈষম্য, কাজের সময় এবং মজুরিসহ কমপ্লায়েন্স ও ইথিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারিং এর বিষয়গুলো অন্তর্ভূক্ত ছিলো।

নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার পাশাপাশি বাংলাদেশের জন্য আরও গর্বের বিষয় হলো, সর্বোচ্চ সংখ্যক গ্রীন পোশাক কারখানার অবস্থান এদেশেই। বাংলাদেশের ১৪৫টি পোশাক কারখানা লীড (লিডারশীপ ইন এনার্জি এন্ড এনভাইরনমেন্টাল ডিজাইন) সনদপ্রাপ্ত। এগুলোর মধ্যে ৪২টি লীড প্লাটিনাম-রেটেড, ৯১টি লীড গোল্ড-রেটেড। ৫০০ টিরও অধিক কারখানার সনদ পাওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ইতিবাচক চিত্র আন্তর্জাতিকভাবে তুলে ধরতে ডব্লিউআরএপি এর সভাপতি ও প্রধান নির্বাহী আবেদিস সেফেরিয়ানের সহযোগিতা ও সমর্থন চেয়েছেন।