বৃহস্পতি. মে 2nd, 2024

ভোটদানে নিরাপত্তা দিবে পুলিশ ভোটাররা নির্ভয়ে ভোট দিতে পারবেন –রংপুর ডিআইজি বাতেন

স্টাফ রিপোর্টার রংপুর
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে নির্ভয়ে ভোট দিতে যেতে পারেন, সেজন্য সততা, নিষ্ঠা ও ধৈয্যের সাথে দায়িত্ব পালনে পুলিশ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি আব্দুল বাতেন।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) বিকেলে সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা সংক্রান্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় ডিআইজি রংপুর পুলিশ লাইন্স মাঠে জেলার ছয়টি নির্বাচনী আসনের দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তাদের বিভিন্ন ধরনের নির্দেশনা প্রদান করেন।
ডিইজি বলেছেন, ভোটাররা বাড়ি থেকে কেন্দ্রে এসে ভোট প্রয়োগ করবেন এবং ভোট প্রদান শেষে বাড়িতে ফিরবেন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে।ভোটারদের বাড়ি,কেন্দ্রও রাস্তায় কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা কেউ সৃষ্টি করতে চাইলে তা প্রতিহত করার সক্ষমতা পুলিশের রয়েছে।পুলিশ বাহিনী সদস্যরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্ন করতে প্রস্তুত।নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সবধরনের চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মানুষের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা (সাংবাদিক) নিয়ম মেনে দায়িত্ব পালন করবেন।সাংবাদিকদের জন্য নির্বাচন কমিশন থেকেও একটা নীতিমালা রয়েছে। আমি মনে করি সকল সাংবাদিককে এই নীতিমালা জেনে রাখা উচিত। ভোটের দিন কোথাও যেন সাংবাদিকদের সাথে পুলিশের কোনো রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে এর জন্য তিনি সবাইকে আন্তরিকতার সাথে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।সাংবাদিকদের সাথে কোনো রকম দুর্ব্যবহার করবেন না। আপনাদের চোখে যদি মনে হয় সাংবাদিকরা নীতিমালার বাইরে কিছু করছেন, তাহলে দায়িত্ব প্রাপ্ত পুলিশ সদস্যরা প্রিজাইডিং অফিসারকে জানাবেন।প্রিজাইডিং অফিসার বিষয়টি দেখবেন। রংপুরের ছয়টি সংসদীয় আসনে মোট ৮৫৮টি কেন্দ্র রয়েছে। রংপুর জেলার অধীনে রয়েছে ৬৫৯টি এবং মেট্রোপলিটন এলাকায় ১৯৯টি ভোট কেন্দ্র রয়েছে।রংপুর জেলার ৬৫৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩১৯টি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র রয়েছে।গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। সেই সাথে অতিরিক্ত টহল টিম থাকবে।একই দিনে পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার মাঠে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা ও ফোর্সদের নির্বাচনী নিরাপত্তা বিষয়ক ব্রিফিং করা হয়।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরপিএমপি) কমিশনার মোঃ মনিরুজ্জামান পুলিশ সদস্যদেরকে সর্বোচ্চ মেধা, দায়িত্বশীলতা ও পেশা দারিত্বের সাথে দেশের এ গুরুত্বপূর্ণ মহান দায়িত্বটি সুসম্পন্ন করা সহ তৎপরবর্তী আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার আহ্বান জানান।এ ঘোষণার সফল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রংপুর মহানগর এলাকার মোট ১৯৯টি ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনী আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আরপিএমপির ১ হাজার ১১৪ জন, পিটিসি রংপুরের ৭৮ জন, এপিবিএন’র ১৫০ জন এবং শিল্প পুলিশের ১২২ জনসহ মোট ১ হাজার ৪৬৪ জন পুলিশ কর্মকর্তা-ফোর্স এবং আনসার-ভিডিপির ২ হাজার ৩৮৮ জন সদস্য মহানগর এলাকার দায়িত্ব পালন করবেন।
 
রংপুর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে রংপুর-১ আসনে নয় জন, রংপুর-২ আসনে তিনজন, রংপুর-৩ আসনে ছয়জন, রংপুর-৪ আসনে তিনজন, রংপুর-৫ আসনে আটজন এবং রংপুর-৬ আসনে সাত জন সহ মোট ৩৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।জেলায় মোট ভোটার ২৪ লাখ ৩২ হাজার ৫০৫ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার রয়েছে ১২ লাখ ২০ হাজার ৩৯৪ জন। পুরুষ ১২ লাখ ১২ হাজার ৮৭ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ২৪ জন ভোটার রয়েছে। জেলার মোট ৮৫৮টি ভোটকেন্দ্রে ৫ হাজার ১৭৬টি ভোটকক্ষে ভোট গ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন।
রংপুর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান জানান, নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভাবে সম্পন্ন করতে ইতোমধ্যে সকল প্রকার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। নির্বাচনে কোন বিশৃঙ্খলা বা অপ্রীতিকর ঘটনায় ছাড় দেয়া হবে না।
 সাধারণ কেন্দ্রে বা গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র গুলোতে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তা নির্বাচন কমিশন থেকে গাইডলাইন দেওয়া আছে। আমরা সেই গাইডলাইন ফলো করব।