September 21, 2025

হজ: হাতে মাত্র চার দিন, চুক্তি বাকি অর্ধেক এজেন্সির

0

হাতে মাত্র চারদিন বাকি থাকলেও প্রায় অর্ধেক এজেন্সি চলতি বছরের হজের জন্য সৌদি আরবের সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে চুক্তি সারেননি।

ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, বাকি এজেন্সিগুলোকে আগামী শুক্রবারের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট সৌদি প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি সারতে হবে। নির্ধারিত সময়ের পরে আর চুক্তির সময় বাড়াবে না সৌদি কর্তৃপক্ষ।

সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে ২০২৫ সালের হজ ব্যবস্থাপনার অগ্রগতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, “বেসরকারি এজেন্সিগুলো তাদের অধীনে নিবন্ধিত হজযাত্রীদের জন্য সৌদি সরকাররের গাইডলাইন অনুসারে কাজ করে যাচ্ছে। অনেকের কার্যক্রম বেশ সন্তোষজনক। আবার অনেকে ধীরগতিতে চলেছেন।

“সৌদি সরকারের পক্ষ হতে হজ সেবাদানকারী কোম্পানির সাথে ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সকল চুক্তি সম্পাদনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ডেডলাইনের মধ্যে তাদের পক্ষ থেকে সকল চুক্তি সম্পাদনের তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

“সৌদি হজ মন্ত্রণালয় থেকে গতকালও আমাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেওয়া হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে– চুক্তি সম্পাদনের গতি খুবই শ্লথ। অনেক ক্ষেত্রে তেমন কোনো অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।”

এ পর্যন্ত অর্ধেকের কিছু বেশি এজেন্সি চুক্তি সম্পাদন করেছে এবং আরও অর্ধেকের মত বাকি আছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, “সময় আছে আমাদের চার দিন। এর পরে যদি কেউ আমাদের বলে টাইম বাড়ান, এটা আমাদের সুযোগ নাই। এটা আমাদের হাতে নাই। এটা সৌদি সরকারের ব্যাপার।

“গত বছরের ২৩ অক্টোবর সৌদি মন্ত্রণালয় থেকে এ সময়সীমার ব্যাপারে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এরপর আরও কয়েক দফা বিষয়টি জানানো হয়েছিল। সে মোতাবেক ধর্ম মন্ত্রণালয় হতে এজেন্সিগুলোকে জানানো হয়েছিল।”

উপদেষ্টা বলেন, “মন্ত্রণালয় থেকে বিষয়গুলো সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে। গতকালও এজেন্সিদের আমরা তাগিদ দিয়েছি। তাদের সঙ্গে সভা করেছি। তারা যেন বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে মিনা ও আরাফায় তাবু ও ক্যাটারিংয়ের জন্য সার্ভিস কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি, বাড়ি বা হোটেল কর্তৃপক্ষের সাথে চুক্তি, পরিবহন কোম্পানির সাথে চুক্তিগুলো সম্পাদন করবেন।

“এজেন্সির অবহেলা বা গাফিলতির কারণে কোনো নিবন্ধিত হজযাত্রী হজ করতে না পারলে সে দায় সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে নিতে হবে। এ দায় কোনোভাবেই সৌদি সরকার বা ধর্ম মন্ত্রণালয় বহন করবে না।”

এ বছর হাজযাত্রীরা সন্তোষজনক সেবা পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, “অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে আমরা বিশ্বস্ত হজসেবা প্রদানকারী কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন করেছি।… আমরা ইতোমধ্যে সৌদি সরকারের চাহিদামাফিক হজযাত্রী প্রতি ১ লাখ ৫৭ হাজার ৩৯১ টাকা হিসাবে ১ হাজার ২৮৫ কোটি টাকার সমপরিমাণ সৌদি রিয়াল প্রেরণ করেছি।”

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর বাংলাদেশ থেকে হজে যেতে নিবন্ধন করেছেন ৮৭ হাজার ১০০ জন। এর মধ্যে সরকারিভাবে ৫ হাজার ২০০ জন এবং বেসরকারিভাবে ৮১ হাজার ৯০০ জন হজে যেতে নিবন্ধন করেছেন।

১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের কার্যক্রম শুরু হবে। আর ২৯ এপ্রিল থেকে সৌদি আরবে পাঠানো হবে হজযাত্রীদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *