May 14, 2025

অস্ট্রেলিয়ার দুঃস্বপ্নের সিরিজ আর শ্রীলঙ্কার ‘প্রথম’

australia-140225-01-1739540819

একাদশে ফিরলেন ট্রাভিস হেড, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, জশ ইংলিসের মতো বিধ্বংসী ব্যাটসম্যানরা। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংয়ের চিত্র বদলাল না। আরেকবার লঙ্কান পেস-স্পিনের যৌথ আক্রমণে ধসে পড়ল তাদের ব্যাটিং লাইনআপ। তাতে রেকর্ড হলো বেশ কিছু। সেগুলো অস্ট্রেলিয়ানদের জন্য যেমন অনাকাঙ্ক্ষিত, তেমনি বিব্রতকর।

কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে শুক্রবার দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের ১৭৪ রানে হারিয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জেতে শ্রীলঙ্কা। পরিসংখ্যানের আলোয় দেখে নেওয়া যাক কিছু রেকর্ড।

১০৭

দ্বিতীয় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার রান এটি। ওয়ানডেতে এশিয়ায় অস্ট্রেলিয়ার সর্বনিম্ন স্কোর এটিই। আগের সর্বনিম্ন ছিল দুই দফায় ১৩৯, ১৯৮৫ সালে শারজাহতে ভারতের বিপক্ষে ও ১৯৮৯ সালে মুম্বাইয়ে (তখনকার বোম্বে) পাকিস্তানের বিপক্ষে।

যেকোনো ভেন্যুতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর এটি। ২০১৩ সালে ব্রিজবেনে সর্বনিম্ন ৭৪ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল তারা। এই দুই দলের মধ্যে ওয়ানডেতে একশর নিচে গুটিয়ে যাওয়ার নজির আছে আর একটি, ১৯৮৫ সালে অ্যাডিলেইডে শ্রীলঙ্কার ৯১।

শ্রীলঙ্কার মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার আগের সর্বনিম্ন ছিল ১৬২, ২০০২ সালে কলম্বোর এই মাঠেই। এবারের সফরে একই মাঠে প্রথম ম্যাচে রান তাড়ায় অল আউট হয় তারা ১৬৫ রানে।

১৭৪

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই প্রথম একশর বেশি রানে হারল অস্ট্রেলিয়া। এর আগে সর্বোচ্চ ৮২ রানে হেরেছিল তারা কলম্বোর একই মাঠে ২০১৬ সালে।

অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে ইতিহাসে ১৭৪ রানের চেয়ে বড় হার আছে আর কেবল তিনটি- ২০২৪ সালে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৮৬, ২০০৬ সালে কেপ টাউনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৯৬, ২০১৮ সালে ট্রেন্ট ব্রিজে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২৪২।

২৪.২

অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস স্থায়ী হয় কেবল ২৪.২ ওভার। ওয়ানডেতে যৌথভাবে তাদের অলআউট হওয়া সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত ইনিংস এটি। ২০১৬ সালে অকল্যান্ডে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষেও তাদের ইনিংস গুটিয়ে গিয়েছিল ২৪.২ ওভারে।

২০২৪ সালে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের ইনিংস স্থায়ী হয়েছিল ২৪.৪ ওভার।

২-০

শ্রীলঙ্কার সিরিজ জয়ের ব্যবধান। এই প্রথম কোনো ওয়ানডে সিরিজে অস্ট্রেলিয়াকে হোয়াইটওয়াশ করতে পারল তারা।

১১

দেশের মাটিতে এই নিয়ে টানা ১১টি ওয়ানডে সিরিজ জিতল শ্রীলঙ্কা।