খলেয়ার জনগনের দুঃখ ঘুঁচবে কবে? -মহিউদ্দিন মখদুমী

0
mmmmmmmmmmmmmmmmmmmmmmmmmmmmm

রংপুর সদর উপজেলার খলেয়া ইউনিয়নের জনগনের দুঃখ কষ্টের শেষ নেই। সেবা নিতে সদর ও গংগাচড়া উপজেলায় ছোটাছুটি করতে হচ্ছে তাদের। প্রশ্ন উঠেছে খলেয়ার জনগনের দুঃখ ঘুঁচবে কবে? কে দায়িত্ব নিয়ে গংগাচড়া থেকে পুরোটা বের করে আনবে খলেয়া ইউনিয়ন পরিষদকে? 

জানা গেছে, ২০১২ সালে রংপুর সিটি কর্পোরেশন  গঠন করার সময় গঙ্গাচড়া উপজেলার অর্ন্তভুক্ত খলেয়া ইউনিয়নকে টেনে নিয়ে ৫টি ইউনিয়ন মিলে রংপুর সদর উপজেলা গঠন করা হয়। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ গঠন হলে ২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর সদরের ৪টি ইউনিয়ন নিয়ে স্বতন্ত্র কোতয়ালী থানার কার্যক্রম শুরু হয়। খলেয়া ইউনিয়নের অধিকাংশ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান সদর উপজেলার অর্ন্তভুক্ত হলেও আইনশৃঙ্খলার থানা, প্রাথমিক শিক্ষা, মাধ্যমিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা এবং সমাজসেবার কার্যক্রম গংগাচড়া উপজেলার অধিনে এখনো চলমান রয়েছে। 

২০২২ সালের ২৮ আগষ্ট স্থানীয় সরকার বিভাগের উপজেলা শাখা-১ এর সিনিয়র সহকারী সচিব মমতাজ বেগম স্বাক্ষরিত এক আদেশে আইনশৃঙ্খলা থানা, প্রাথমিক শিক্ষা, মাধ্যমিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা এবং সমাজসেবার কার্যক্রম গংগাচড়া উপজেলার পরিবর্তে সদর উপজেলায় পরিচালনার জন্য গেজেট প্রকাশ করা হয়। উপেক্ষা করা হয়েছে সেই আদেশ। বাস্তবায়ন হয়নি। ফাইলবন্দি হয়ে আছে। দেখবার কেউ নেই। নেই খোঁজ নেবার মতো কেউ। 

খলেয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নেবিউল হক বলেন, এই বঞ্চনার শেষ চায় আমার এলাকার জনগণ। আমরা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে দৃষ্টি আর্কষণ করছি। প্রয়োজনে মানববন্ধন, স্মারকলিপি দেয়ার নিদ্ধান্ত নেয়া হবে। 

রংপুর সদর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মহিউদ্দিন মখদুমী এ ব্যাপারে বলেন, চুপ থাকার সময় শেষ। বিষয়টি নিয়ে আমি বিভিন্ন ভাবে কাজ করছি। আগামী জুলাই মাসের মধ্যে গংগাচড়া উপজেলার অর্ন্তভুক্ত থাকা আইনশৃঙ্খলার থানা, প্রাথমিক শিক্ষা, মাধ্যমিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা এবং সমাজসেবার কার্যক্রম সদর উপজেলার মধ্যে অর্ন্তভুক্ত হবে। চেষ্টা চলছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *